তিনদিন হয়ে গেল হিয়া বা আকাশ কারোর কোন খোঁজ পাওয়া যায় নি।
আরিয়ান পাগলের মত ওদের সারা শহরে খুঁজে বেড়িয়েছে হিয়ার বাবাও নিজের সব শক্তি দিয়ে খোঁজ করার চেস্টা করেছে তবুও পায় নি।
আকাশের এসব কাহিনী শুনে তার বাবা মা তো বিশ্বাস এই করতে পারে নি তাই বিদেশ থেকে তাড়াহুড়ো করে ফিরে এসেছেন।
হিয়ার বাবা,আরিয়ান,আকাশের বাবা মা সবাই আকাশদের বাসায় বসে আলোচনা করছে এসব কিভাবে হল এই বিষয়ে,
ঠিক তখন বাড়ির সামনে এসে একটা গাড়ি থামলো,
সবাই গাড়িটির দিকে তাকিয়ে আছে
অবশেষে গল্পের ভিলেন খ্যাত হিরো আকাশের এন্ট্রি হলো।
গাড়ি থেকে নেমে পাশের সিটের দরজা খুলে দিলো আকাশ,
হুম যা ভাবছেন তাই গাড়ি থেকে নেমে আকাশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে হিয়া...
সবার প্রানে স্বস্তির নিশ্বাস পড়লো।হিয়া দৌড়ে গিয়ে তার বাবাকে জড়িয়ে ধরল।
চলুন দেখে আসি সেদিন রাতে কি হয়েছিল,
হিয়াকে মারতে মারতে মাটিতে ফেলে দিয়ে আকাশ নিচে নেমে আসলো রাগ মিটানোর জন্য ঘরের সব জিনিস ভেঙ্গে ফেললো তারপর ফোন হাতে নিয়া কল দিল।
আকাশঃহ্যালো ডক্টর,আকাশ বলছি এক্ষুনি বাসায় চলে আসুন,
ডক্টরঃ জ্বি স্যার আসছি,
কিছুক্ষন পর ডাক্তার চলে আসলো
ডক্টরঃ কার কি হয়েছে স্যার?
আকাশঃউপড়ে যান গিয়ে দেখুন আমার বউ অসুস্থ্য।
ডক্টরঃ জ্বি স্যার চলুন,বলে যেই উপড়ে যেতে নিল আকাশ পিছন থেকে ডেকে বললো আপনি যান আমি এখানে আছি, আকাশ একটা চেক ডাক্তারের হাতে দিয়ে বললো আপনার যত ইচ্ছা টাকাটা বসিয়ে নিবেন।
ডক্টরঃ এখন এসবের দরকার নাই স্যার আগে দেখে আসি।
আকাশঃদেখার কিছু নেই ওকে যেভাবেই হোক সুস্থ্য করে তুলতেই হবে আমি যেকোনো মুল্যে ওকে সুস্থ্য দেখতে চাই। আপনি চেকটা আগেই নিন।
ঠিক আছে স্যার আমি দেখছি বলে চেকটা নিয়ে বলে উপড়ে গেল ডাক্তার।
আকাশ নিচে সোফায় বসলো চোখ বন্ধ করে ভাবছে,
জেসমিন....আমার জীবনের প্রথম ভাললাগা। আমার ভালবাসা যাকে আমি নিজের চেয়েও বেশি ভালবাসতাম, আদর করে নাম দিয়ে ছিলাম মেঘলা। চেয়েছিলাম আকাশ এর জীবন যেনো সারাজীবন মেঘলা হয়েই থাকে।
,
,
আকাশ যখন uk তে পড়াশুনা করত তখন সে একটা অনাথ মেয়েকে ভালবাসতো মেয়েটার জন্য পাগল ছিল আকাশ।মেয়েটিও আকাশ কে খুব ভালবাসত।আকাশের বাসার সবাই মেয়েটার ব্যাপারে জানত। আকাশ পড়াশুনা শেষ করে মেয়েটাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল কিন্তু একদিন হঠাৎ করেই মেয়েটি কাউকে কিছু না বলে অনাথ আশ্রম থেকে পালিয়ে যায় এমনকি আকাশকেও বলে যায় নি।আকাশ মেঘলাকে অনেক খুঁজে ও পায়নি তারপর আকাশ পড়াশুনা শেষ করে দেশে চলে আসে।মেঘলাকে পাওয়ার সব আশা ছেড়ে দেয় সে।
আকাশঃমেঘলা আমাকে ছেড়ে যাওয়ার পর আর কাউকে ভালবাসতে পারি নি কারো জন্য কোন মায়া তৈরি হয় নি কখনো,
কিন্তু আজ সেই দিনের মতই কস্ট হচ্ছে যেদিন মেঘলা আমাকে ছেড়ে চলে গেছিল....
খুব খারাপ লাগছে আমার কি করব বোঝতে পারছি না (আকাশ)
এদিকে ডাক্তার উপড়ে গিয়ে দেখলো হিয়া মাটিতে পড়ে আছে,হিয়ার অবস্থা বেশ খারাপ একটা ইনজেকশন পোশ করে ডাক্তার তাড়াতাড়ি এম্বুল্যান্স কে খবর দিল।
কিছু নার্স আর ওয়ার্ড বয় এসে হিয়াকে ট্রেজারে করে এম্বুল্যান্স নিয়ে গেল।ওরা রোগীকে নিয়ে ব্যস্ত ছিল তাই আকাশকে লক্ষ্য করে নি কিন্তু ডাক্তার নিচে এসে আকাশকে ডাকতে গেল।আকাশের কাছে যেতেই ডাক্তারের চোখ ছানাভরা হয়ে গেল,
দেখলো,আকাশ চোখ বন্ধ করে আছে হাতে মুষ্টি করে ধরে আছে একটি ধাঁরালো ছুড়ি
মেঝেটা রক্তে ভেসে যাচ্ছে। এতক্ষন ধরে রক্তক্ষরনে শরীরের বেশির ভাগ রক্তই বেরিয়ে গেছে,
ডাক্তার মিঃআকাশ একি অবস্থা আপনার আপনাকে ত একটু আগেই ভাল দেখে গেলাম...
আকাশ অজ্ঞান হয়ে গেছে
ডাক্তারের বোঝতে বাকি রইল না যে পারিবারিক কলহের জন্যই এমন হইছে, আর নিজে সোসাইড করবে জন্যই আকাশ আগেই চেক দিয়ে গেছেন যাতে তার স্ত্রী এর চিকিৎসার কোন কমতি না হয়।
ডাক্তার তাড়াতাড়ি ওয়ার্ড বয়দের ডেকে আকাশকেও হসপিটালে নিয়ে গেলেন
আকাশের অবস্থা হিয়ার চেয়েও ক্রিটকেল, প্রচুর রক্তক্ষরন হয়েছে আকাশ icu তে ছিল। হিয়াও আসুস্থ্য
আকাশ আর হিয়া ২ জনই এই তিন দিন ধরে মৃত্যুর সাথে লড়েছে
ডাক্তারের কাছে blank চেক থাকায় টাকার কোন সমস্যা হয় নি আর এদের অবস্থা এতই খারাপ ছিল যে ডাক্তার এদের নিয়েই ব্যস্ত ছিল তাই পরিবারের কাউকে জানানোর সুযোগ পায় নি।
এখন একটু আগেই আকাশ, হিয়া ২ জন বাসায় ফিরেছে।
বাসার ঢুকার সাথে সাথেই
হিয়া তার বাবার কাছে গেল হিয়ার শরিরের দাগ দেখেই তার বাবার চোখে জল চলে এলো
আমার সবকিছু নিয়ে নিন আপনি, আমার কিছু চাইনা আমি শুধু হিয়াকে আমার কাছে নিয়ে যেতে চাই রফিক সাহেব বললেন, আমি ভেবেছিলাম আপনি হিয়াকে ভালবাসেন ওকে সুখে রাখবেন কিন্তু আপনি,,,,,,,,,,,,,, আমার আর কিছু চাই না আমি আজই হিয়াকে নিয়ে যাব।
আকাশের বাবা মা অবাক চোখে তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে তাদের বিশ্বাস হচ্ছে না আকাশ এমন করতে পারে,
আরিয়ানঃ ছি আকাশ ছি... তুই এত নিচে নামতে পাড়লি? টাকা দিয়ে তুই হিয়াকে কিনে এনেছিলি
আমি ভাবেছিলাম তুই হিয়াকে ভালবাসিস তাই এতদিন কিছু বলি নি।কিন্তু তুই ত একটা নরপিশাচ
তুই হিয়াকে মেরেছিস ছি...
তর কত টাকা লাগবে আমায় বল আমি আজকেই তর সব টাকা শোধ করে হিয়াকে এই নরক থেকে মুক্তি দিব, কথাটা শেষ করার আগেই আকাশ ঠাস করে আরিয়ানকে থাপ্পড় মেরে দিল
সবাই থমকে গেল
আকাশঃআরিয়ান,,,,,তুই কোনো মেয়ের হাতের নেইল পলিস নষ্ট হয়ে যাবে বলে সেই মেয়েকে খাইয়ে দিতে ৩ বেলা তার কাছে ছুটে গিয়েছিস কখনো?
মেয়েটি রাত ২ টা বাজে আইস্ক্রিম খাবে বলে দোকানদার কে বাসা থেকে ধরে এনেছিস?
মেয়েটির পছন্দের ড্রেস অন্য কেউ কিনে নিয়েছে বলে তার সাথে মারামারি করে সেই ড্রেস নিয়ে এসেছিস?
আমি আকাশ এগুলো সব করেছি,নিজের সব কাজ ফেলে মেয়েটাকে একটা বাচ্চার মত করে আগলে রেখেছি সবসময়,কোন ছেলেকে চোখ তুলে থাকানোর সুযোগ দেই নি, যখন যা চাইছে সব দিয়েছি, হ্যাঁ ঠিক এতটাই ভালবাসতাম আমি সেই অনাথ মেয়েটিকে কখনো নিজের পায়ে হাঁটতে দেই নি তাকে,একটা ফুলের টুকাও লাগতে দেই নি তার গাঁয়ে, কিন্তু তবুও সে আমায় ছেড়ে চলে গেল আমাকে নিঃশ্ব্য করে দিয়ে চলে গেল।
,
,
,
তারপর হঠাৎ করেই জানলাম মেয়েটি অনাথ ছিল না তার বাবা আছে বেশ আদুরে মেয়ে সে,আর এখন সে আমাকে দেখেও না চিনার ভান করে, আমাকে চিনা ত দূর আমারই সামনে দাঁড়িয়ে অন্য ছেলে বুকে মুখ লুকিয়ে আমার নামে অভিযোগ করে.....তখন আমার কেমন লাগে বলতে পারিস?
বলেই আকাশ মাটিতে হাঁটু ঘেরে বসে কাঁদে দিল।
কে কি বলবে বোঝতে পারছে না সবাই যেন পাথর হয়ে গেছে আকাশের অবস্থা দেখে।কারও মুখে কোন কথা নেই
আরিয়ানঃ কি বলছিস আকাশ তারমানে এই হিয়াই তোর হাড়িয়ে যাওয়া মেঘলা....???
আকাশ মুখ তুলে বললো কান্নাজড়িত কন্ঠে বললো হুম
হিয়াঃমিথ্যা বলছেন আপনি এসব কিছুই হয় নি আমি এর আগে আপনাকে কখনো দেখিই নি।
আকাশঃনিজের ফোনটা বের করে কিছু ছবি আর ভিডিও দেখালো সব গুলোতেই হিয়া আকাশকে জড়িয়ে ধরে আছে, কোনটায় আকাশের গাল টেনে ধরেছে সে, ভিডিও গুলোতেও আকাশের সাথে মজা করছে দৌড়াদৌড়ি করছে আকাশ ওকে খাইয়ে দিচ্ছে আর আকাশ হিয়াকে সবসময় টেইক কেয়ার করছে এমন সব ভিডিও
হিয়া নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছে না কি করে সম্ভব এসব?
এবার রফিক সাহেব এগিয়ে এসে বললো আকাশ যা বলছে সবি সত্যি মা,
হিয়াঃ কি বলছো বাবা?
হুমঃ তর নিশ্চুই মনে আছে ৩ বছর আগে তর এক্সিডেন্ট হয়েছিল তখন তোর মাথায় আঘাত লাগায় তুই তোর অতীত ভুলে যাস, তখন তুই কাউকেই চিনতি না,
পরিচিত মানুষ,পরিচিত জায়গা দেখলে তুই অস্থির হয়ে যেতি সব মনে করার চেস্টা করতি কিন্তু পারতি না তোর মাথায় যন্ত্রনা হত। তাই ডক্টর বলেছিলো তোকে এমন কোথাও পাঠাতে যেখানে তোর পরিচিত কেউ থাকবে না আর বলেছিলো তোকে যেন বলি তোর কেউ নেই তুই অনাথ সারাজীবন অনাথ আশ্রমেই বড় হয়েছিস তোর কেউ নেই যাতে তুই কিছু মনে করার চেস্টা না করিস
তাই আমি তোকে uk পাটাছিলাম সেখানে একটা অনাথ আশ্রমে থাকতি তুই তোর পরিচয় সেখানে কেউ জানত না কারন কেউ যদি মুখ ফসকে বলে দেয়, যাথে তুই তোর অতীত মনে করার চেস্টা না করিস তার জন্য আমি কখনো সেখানে যায় নি। আমি চেয়েছিলাম তুই সুস্থ্য হয়ে যা। ২ বছর পর তর ব্রেইন অপারেশন হয় ডাক্তার আমায় পরামর্শ দেন তোর জ্ঞান ফিরার আগে যেন দেশে নিয়ে আসি যাতে চোখ খুলে তুই বোঝিস তোর এক্সিডেন্ট এর জন্য হসপিটালে আছিস আমাকে আরও বলা হয় মাঝখানে ঘটে যাওয়া এই ২ বছরের কথা তোকে জেনো না বলি তাহলে তোর ব্রেইনে চাপ পড়বে আমি শুনেছিলাম কোন একটা ছেলে তোকে খুব যত্ন করত ভালবাসত কিন্তু তোর ক্ষতির কথা ভেবে আমি তার সাথে দেখা করতে পারি নি তুই তোর জীবনে ঘটে যাওয়া ২ বছরকে তুই ভুলে গেলি আর আমি ত জানতামেই না, এই সেই আকাশ যে আমার মেয়েকে এত ভালবাসতো।
হিয়াঃ বাবা কি বলছো তুমি এটাও সম্ভব?
আকাশ দৌড়ে গিয়ে হিয়াকে জরিয়ে ধরে বলতে লাগলো আপনি এগুলো আগে কেন বল্লেন না? আমি না জেনে কত কষ্ট দিছি মেঘলাকে।
হিয়াঃশুধু কি আমাকেই কষ্ট দিছো নিজে যে মরতে বসেছিলে তা বোঝি কিছু না?
পাশ থেকে আরিয়ান বলে উঠল,আকাশ তুই আমায় ক্ষমা করে দে আমি না বোঝে তোকে কত খারাপ খারাপ কথা বল্লাম।
আকাশঃ আজ আমি অনেক খুশি আরিয়ান, কত যে খুশি তোকে বলে বোঝাতে পাড়ব না আমার কারো প্রতি কোন অভিযোগ নাই।
Related Story
হিয়া ঘরে চলো তোমার সাথে কথা আছে।বলেই আকাশ হিয়াকে কোলে তুলে নিল সবার সামনেই তারপর ঘরে নিয়ে দু হাতে গালে আলতো করে হাত দিয়ে বলল আমার পরীটাকে খুব কস্ট দিয়েছি তাই না?
এই দেখো কান ধরছি আর কখনো এমন হবে না হিয়া,মাফ করে দেও প্লিজ (আদুরে গলার)
হিয়াঃনা হিয়া না, আজ থেকে হিয়া মরে গেছে আমি শুধু আকাশের মেঘলা হয়েই থাকতে চাই,কিন্তু তুমি যদি একবার আমাকে জিজ্ঞাস করতা তাহলে এই ভুল বোঝাবোঝি গুলো হত না। তুমি আমার কতটা ভালবাসো তা ত নিজের চোখেই দেখেছি বিশ্বাস করো আমার আর কোন কস্ট হচ্ছে না, আমার শুধু কস্ট হচ্ছে এটা ভেবে সেদিন ওয়ার্ড বয়দের মত ডাক্তার আংকেলও যদি তোমাকে না দেখতো আমি ত তোমায় হারিয়ে ফেল তাম
আকাশঃ মেঘলার ঠোঁটে ঠোঁট ছুয়ে দিয়ে বলল মেঘলাকে ছেড়ে আকাশ আর কখনো কোথাও যাবে না।
অতঃপর কিছুদিন পর আকাশ আর মেঘলার ধুমধাম করে বিয়ে হয়ে গেল আকাশ এখনো তার মেঘলাকে ততটাই কেয়ার করস যতটা আগে করতো.....আরিয়ান হিয়াকে ভালবাসত ঠিকি কিন্তু আকাশের মত না সে আগে থেকেই জানত মেঘলাকে আকাশ কতটা ভালবাসে আর মেঘলাও কত ভালবাস মতো তাই আরিয়ান খুশি মনে সব মেনে নিল....
গল্পের শিক্ষনীয় দিকঃ বাস্তব জীবনেও প্রতিনিয়ত আমাদের জীবনে ভুলবোঝা বোঝি হয়েই থাকে, যা আমাদের কে কস্ট দেয় তাই কখনো কোনো বিষয়ে সন্দেহ হলে নিজের মনে চেপে না রেখে বিপরীত পাশের মানুষটিকে সরাসরি প্রশ্ন করুন, তাকে বলার সুযোগ দিন কারন অনেক সময় আমরা যা দেখি,তা ঘটে না।আর যা ঘটে তা দেখি না তাই যা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে তা সংকোচ ছাড়াই বলে দিন হোক সেটা বাবা মা বা লাইফপার্টনারের সাথে হওয়া ঝামেলা।মনে রাখবেন নিজের সমস্যা নিজেকেই সমাধান করতে হয়,সেদিন যদি আকাশ প্রথমেই হিয়াকে প্রশ্ন করতো তাহলে এত কিছু ঘটতই না। আর প্রশ্ন না করার কারনে ২ জনের থেকে একজনের মৃত্যু হতে পাড়তো তাই সীধান্ত নেওয়ার আগে ভাবুন, কারন আপনার নেওয়া একটা ভুল সিধান্ত হতে পারে আপনার সারাজীবনের কান্নার কারন,নিজে ভালো থাকুন অপরকে ভালো রাখুন।