আকাশ যখন হিয়াকে নিয়ে উপড়ে যেতে চাইল
ঠিক তখনি পিছন থেকে কেউ ডেকে বলল
গুড মরনিং মেরে জান....
না কন্ঠ টা আমার অপরিচিত নয় কিন্তু এই কন্ঠের মালিক আমাকে আর যাই বলোক জান বলবে না কখনো। আর তাছাড়া আমার মাথায় এক হাত ঘোমটা দেওয়া তাহলে ও আমাকে চিনবেই বা কি করে ভাবতে লাগল, তার ভাবনার অবসান ঘটিয়ে যেই পিছে ফিরল হিয়া দেখলো হ্যাঁ সে যার কথা ভবছে এটা সেই আরিয়ান কিন্তু জান বলে হিয়াকে নয় বরং আকাশ কে ডেকেছে আর আকাশো তাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরছে তাদের মধ্যে খুব ভাব দেখেই বোঝা যাচ্ছে....
আকাশঃচল তর ভাবির সাথে পরিচয় করিয়ে দেই
আরিয়ানঃ ভাবি...??? are you crazy bro?
আকাশঃ নো মাই সুইট ডেয়ার,ইটস হ্যাপেন এন্ড আই হেব এ ওয়াইফ হাসি দিয়ে বললো।
আরিয়ানঃ চল তাহলে পরিচিত হই....
আকাশঃহুম....ঘোমটা তোলো তুমার দেবর এসেছে তোমায় দেখতে, বলে নিজেই ঘোমটা তুলে দিল আকাশ ।
আরিয়ানঃ হিয়া তুমি....??? এটা কিভাবে সম্ভব?
আকাশঃ কেন কি হইছে? তোর কি ভাবি পছন্দ হয়নি?
আরিয়ানঃআরে না, তা কেন হবে না হিয়া তো one of the most beautiful girl in the world...কিন্তু কথা হলো আকাশ খান বিয়ে করছে আর কেউ কিছু জানলো না....???
আকাশঃআমি তোকে সব বোঝিয়ে বলব তুই ব্রেকফাস্ট কর আমি ওকে রুমে রেখে আসছি।একসাথে বের হব।
আরিয়ানঃ ওকে ব্রো....
হিয়াঃ আরিয়ান তোমার সাথে একটু কথা ছিল....
নো নো নো ডিয়ার দেবর ভাবির এত ভাব আমার সহ্য হবে না, বলেই হেসে উঠল আকাশ।
আমি আর কিছু বলতে পাড়লাম না আকাশ আমাকে নিয়ে উপড়ে চলে এসেছে.....(হিয়া)
আরিয়ানঃ এটা কি করে সম্ভব আমি যে মেয়ের পিছনে ১১ মাস ঘুরলাম, আমাকে প্রপোজ করার সুযোগ টা পর্যন্ত দিল না সবসময় এড়িয়ে গেছে,আর আজ সেই মেয়ে ৭ দিনের মধ্যে আকাশ কে বিয়ে করে ফেললো....না আমি এটা কিছুতেই মেনে নিব না।আকাশ কে আমি কিছুই বলবো না কিন্তু তোমাকে আমি দেখে নিব হিয়া, খেতে খেতে ভাবছে আরিয়ান।
এদিকে আকাশ মিসেস রহমান মানে সেই সার্ভেন্ট আন্টিকে খাবার দিতে বল্লেন।
হিয়াঃযাক বাবা এবার খাওয়া যাবে কি ক্ষিদে পেয়েছে বলে বোঝানোর মত না...
টেবিলে প্রচুর ভাল ভাল খাবার দেখেই ভাল লাগছে।গিয়ে খেতে বসলাম (হিয়া)
মিসেস রহমান ওর খাবারটা এনে দিন (আকাশ)
হিয়াঃএত খাবার থাকতে আরো কিসের খাবার (মনে মনে)
আন্টি আমাকে এক বাটি স্যুপ এনে দিলেন। কি বিশ্রি দেখতে ওটা আর গন্ধটাও বাজে....
আকাশঃসুইটহার্ট খেয়ে নাও
হিয়াঃ কি খাব?
আকাশঃ স্যুপ টা....
এটা কি খাওয়ার যোগ্য নাকি (হিয়া)
গালে কয়েকটা ঠাস ঠাস থাপ্পড় পড়লেই যোগ্য হয়ে যাবে....খাও বলছি চোখ রান্গিয়ে বললো আকাশ।
না খেয়ে উপায় নেই বোঝলাম তাই একটু করে মুখে দিতেই মনে হলো পেটের ভিতরের সব যেন বাইরে চলে আসছে দৌড়ে বেসিনে গিয়ে বমি করলাম এমনেতেই সারা রাত খাইনি তার উপড় এই বিশ্রি খাবার....প্রানটা যেন বেরিয়ে যাবে এখন।
বেসিনে দাঁড়ানো অবস্থায় আকাশ এর ডাক শুনলাম চিৎকার করে ডাকছে।
কি হলো ডাকছেন কেন এভাবে?
আকাশঃখাবারটা শেষ করো....
হিয়াঃ আমি এটা খেতে পারব না
মিসেস রহমান বমি করে এটা নস্ট করে ফেলেছে নতুন এক বাটি এনে দিন বললো (আকাশ)
কি বলছেন এসব আমি এটা খাব না....(হিয়া)
আকাশ আমাকে হাতে ইশারা দিয়ে কিছু একটা দেখালেন তাকিয়ে দেখি দেয়ালের একপাশে একটা চাবুক ঝুলানো, না খেলে কি হতে পাড়ে বোঝার আর বাকি রইল না আমার।
কি আর করার নাক মুখ চেপে কোনমতে গিল্লাম।
হিয়াঃ খুব ক্ষিদে পেয়েছে ভাল একটু কিছু খেতে দিন না প্লিজ....(করুন গলায়)
আকাশঃ হাজার বা লক্ষ নয় কোটি কোটি টাকা খরচ করে তোমাকে এখানে এনেছি বসে বসে খাওয়ানোর জন্য না শুধু মাত্র কস্ট দেওয়ার জন্য বোঝেছো?
তোমার বাবা তোমাদের সব সম্পত্তি ব্যাংকে জমা রেখে একটা ডিলের জন্য ট্যান্ডার কিনেছিলেন কাজ টা তোমার বাবারই পাওয়ার কথা ছিল কিন্ত আমি তোমার বাবার দ্বীগুন টাকা দিয়ে সেই ডিল টা ক্যান্সেল করাইছি, তারপর তোমার বাবাকে ওফার করেছি, হয় তোমাকে আমার হাতে তুলে দিতে নয়ত নিজের সব হারিয়ে পথে বসতে, তবুও তিনি রাজি ছিলেন না আমি উনাকে বলেছিলাম উনি না দিলেও তুলে আনব তাই উনি বাধ্য হয়েছেন তোমাকে আমার হাতে তুলে দিতে
আর এত কিছু আমি এমনি এমনি করছি বলে তোমার মনে হচ্ছে....???
Related Story
হিয়াঃউনার এসব কথা শুনে ক্ষিদে যেন উধাও হয়ে গেছে কি বলবো বোঝতে পাড়ছিলাম না।
আকাশঃআজ রাত থেকে বোঝবা জীবন কত প্রকার ও কি কি... (শয়তানি হাসি দিয়ে)
হিয়াঃ ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে গেল এই ছেলের আমার জন্য কোন দয়া মায়া নাই তার অনেক প্রমান আগেই দিছেন উনি। যে এতক্ষন একটা মানুষকে না খাইয়ে রাখতে পারে সে আর কি কি পাড়বে তা বেশ ভালই বোঝতে পাড়ছি।
আকাশঃ শোন বেবি আমি এখন কাজে যাব, আরিয়ান আমার জন্য অপেক্ষা করছে। তোমার সাথে আমার কোন জোড়া জোড়ি করার দরকার আছে বলে মনে করছি না।যা যা বলব সব ঠিকঠাক মত করবা তাহলে আর কোন ঝামেলা হবে না। প্রথম কথা আমি ছাড়া ফোনে কারো সাথে কথা বলা যাবে না,তবে হ্যাঁ যেখানে খুশি যেতে পাড়ো আমার আপত্তি নেই তবে লাঞ্চ এর আগে ফিরতে হবে,আবার বের হতে পারবা তবে বেশি রাত করা যাবে না।বান্ধবীদের সাথে মিশা যাবে বন্ধুর সাথে না আর পালিয়ে যাওয়ার সপ্ন ভুলেও দেখো না তাহলে নিজের বাবার অবস্থা সহ্য করতে পারবা না,শেষ কথা আমাকে না বলে কিছু খাওয়ার চেস্টাও করো না।মনে থাকবে তো কথা গুলা? বলে চলে গেল আকাশ
হিয়াঃআমার সাথে এসব কি হচ্ছে কিছুই তো বোঝতে পারছি না কোন পাপের শাস্তি দিচ্ছো তুমি খোদা....