Golperjogot

Golperjogot

ভিলেন – থ্রিলার প্রেমের গল্প পর্ব 45 | Romantic Love Story

ভিলেন পার্টঃ ৪৫
Mona Hossain

আকাশের কথা শুনে মেঘলার কান্না পাচ্ছে তাই মেঘলা সেখান থেকে দৌড়ে বেরিয়ে গেল।

মেঘলাকে চলে যেতে দেখে নাবিল আকাশকে যাওয়ার জন্য ইশারা করল,

নাবিলঃ তুই যা আমি আমি এদিক টা সামলে নিচ্ছি।

আকাশ নাবিলের কথায় মেঘলার পিছন পিছন চলে গেল।

আকাশঃ মেঘলা এই মেঘলা দাঁড়া বলছি..

মেঘলা দাঁড়াল না।

আকাশঃ উফফ এই মেয়েকে নিয়ে ত আচ্ছা ঝামেলা হল ভালও বুঝে না মন্দও বুঝে না। আরে বাবা আমি কি ভুল করেছি এভাবে পালানোর কি হল দাঁড়া।

মেঘলা মেঘলার মতই যাচ্ছে দেখে আকাশ দৌড়ে গিয়ে মেঘলাকে ধরল।

মেঘলাঃ ছাড় আমাকে (কাঁদতে কাঁদতে)…

আকাশঃ একটা থাপ্পড় মারব.. এভাবে কোথায় যাচ্ছিস? চল আমার রুমে চল।

মেঘলা আকাশের বুকে মাথা গুঁজে দিয়ে কাঁদতে শুরু করল।

আকাশ কোনমতে টেনে হিচঁড়ে মেঘলাকে নিজের রুমে নিয়ে গেল।

মেঘলা এখনো আকাশকে জড়িয়ে ধরেই কাঁদছে।

আকাশঃ এই ২ দিন আই লাভ ইউ শুনার জন্য পাগল করে দিয়েছিস আর এখন যখন বল্লাম তখন কোন গুরুত্বই দিচ্ছিস না আংটিটা পর্যন্ত এক্সেপ্ট করিস নি।

মেঘলাঃ আমি এভাবে i love you শুনতে চাইনি।

আকাশঃ যে আই লাভ ইউ এর কোন ভিত্তি নেই সেটা বলে শুধু শুধু মুখ নষ্ট করব কেন? তোকে সবার সামনে প্রপোজ ক রতে চেয়েছিলাম জন্যেই তখন বলি নি।

মেঘলাঃ তুই এমন কেন.??

আকাশঃ সবার মত নই তাই।কিন্তু তুই কাঁদছিস কেন সেটা বল তো…??

মেঘলাঃ জানি না এ্যা…..এ্যা

আকাশঃ আরে আমার কোন কথা খারাপ লেগেছে সেটা ত বল।

মেঘলাঃ খারাপ লাগে নি

আকাশঃ তাহলে কাঁদছিস কেন/

মেঘলাঃ আমার কান্না পাচ্ছে কি করব।

আকাশঃ ওরে পাগলি রে দেখি মুখ তুল দেখি আমার বুক ত পুরো ভিজিয়ে দিয়েছিস।

মেঘলা আরো শক্ত করে আখড়ে ধরল আকাশ কে।

আকাশঃ ভাল কথার মেয়ে তুই না আচ্ছা ব্যাপার না কিভাবে ঠিক করতে হয় আমি জানি।
মিসেস জেনিফার এদিকে একবার আসুন তো…

আকাশের ডাকে একজন মধ্যবয়স্ক মহিলা আসলেন।

জেনিফারঃ জ্বি স্যার বলি

আকাশঃ এক গ্লাস সরি গ্লাস না এক মগ দুধ নিয়ে আসুন তো।

জেনিফারঃ স্যার দুধ.??

আকাশঃ দেখতে পাচ্ছেন না গেস্ট এসেছে তাকে কিছু খাওয়াতে হবে না…

মিসেস জেনিফারঃ আমি এখুনি নিয়ে আসছি স্যার।

মেঘলা দুধের কথা শুনেই মুখ তুলল।

মেঘলাঃ তুই আবার আমাকে দুধ খাওয়াবি..🥺🥺

আকাশঃ হ্যা অবশ্যই সকালে খায়িয়ে ছিলাম রাতে জেদ দেখিয়ে খাস নি তার শাস্তি হিসেবে এখন খাওয়াব কান্না করছিস সেই শাস্তি হিসেবে।

মেঘলাঃ আমার কান্না পাচ্ছে আমি কি করব?

আকাশঃ তোর শরীরে পানি শুন্যতা দেখা দিবে আমি সেটা মানব কি করে? দুধ খেলে শরীরে শক্তি হবে তখন কাঁদিস।

মিসেস জেনিফার দুধ দিয়ে গেলেন,

মেঘলার ত দেখেই ভয় করছে কারন সে দুধ খায় না খেলেই বমি পায়।

আকাশঃ ২ টা অপশন আছে এক কান্না থামিয়ে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসা ২ দুধ খাওয়া কোনটা চাস বল।

মেঘলাঃ তুই পাক্কা একটা ভিলেন হয়েছিস

আকাশঃ জানি এবার তুই যাবি কি..??

মেঘলা মুখ ভেংচি দিয়ে বলল যাচ্ছি যাচ্ছি ফাউল…

মেঘলা ওয়াশরুমে যেতেই নাবিল আসল।

নাবিলঃ কিরে একা কেন তোর প্রিন্সেস কোথায়..??

আকাশঃ কান্না করছে সময় দে ঠিক হয়ে আসছে।

নাবিলঃ মেঘলাও না এত অবুঝ কি আর বলি।

আকাশঃ এসব বাদ দে এবার কাজের কথায় আসি আমি চাই তুই আমার ফ্যাক্টরির দায়িত্ব নে।

নাবিলঃ সেসব না হয় পরে দেখা যাবে এখন তুই কিছুদিন কাজ বাদ দিয়ে রোমাঞ্চ কর কত ত্যাগ কত ঝামেলার পর তোর ন্যাকারানীকে নিজের করে পেলি।

মেঘলাঃ আমি মোটেও ন্যাকা না বাজে কথা বলবি না ভাইয়া ও আমাকে অপমান করছে তুই কিছু বলছিস না কেন?

আকাশঃ তুই ও না কিছু বুঝিস না।আর তুই কি জানিস না পাগল কে পাগল আর অন্ধ কে অন্ধ বলতে নেই।

মেঘলাঃ ভাইয়া….😡😡

নাবিলঃ বেচারি এমনিতেই কেঁদে কেঁদে শেষ আর কাঁদাস না।

আকাশঃ তো কি করব? ও এখনো আমাকে ভাইয়া ডাকছে দেখতে পাচ্ছিস না?

নাবিলঃ তাই তো,মেঘলা এটা কিন্তু একদম ঠিক না।

মেঘলাঃ তো কি চাচা ডাকব..??

নাবিলঃ বুঝেছি আমার এখন এখানে থাকা উচিত নয় আমি যাচ্ছি বস তোমার জিনিস তুমি সামলাও।

আকাশ মুচকি হাসল নাবিল চলে গেল।

আকাশ মেঘলার কাছে গিয়ে বলল,
আমার উপড় কোন রাগ আছে..??

মেঘলা মাথা নেড়ে না সুচক উত্তর দিল।

আকাশঃ কিন্তু আমার আছে।

মেঘলাঃ আমি কি করেছি..??

আকাশঃ কাল কিসব উল্টাপাল্টা বলছিলি ইচ্ছা করছিল মেরে তক্তা বানিয়ে দেই।

মেঘলাঃ কি বলেছি..??

আকাশঃ মনির মৃত্যুর জন্য তুই দায়ী হেন তেন কতকিছু।

মেঘলাঃ আমিই ত দায়ী ভাইয়া দেখ আমি যদি এসব না করতাম তাহলে মা মারা যেত না তোকেও এত কষ্ট করতে হত না আমি এমন কেন ভাইয়া..??

আকাশঃ এসব তোর ভুল ধারনা মেঘলা তোর কি মনে হয় তোর বাবা মনিকে ভালবাসতো? আর তোর জন্য দুরত্ব তৈরি হয়েছে? না কখনই না উনি আগে থেকেই রিলেশান করত যার কারনে সুযোগ পেয়েই বিয়ে করে নিয়েছে আর দুরত্ব কখনো ভালবাসা কমায় না বরং বাড়ায় দেখ আমি তোর থেকে কতদুরে ছিলাম আমি কি তোকে ভুলে গেছি..??

যার ভাগ্যে যা লিখা তাই হবে এতে তোর কোন হাত নেই।আর যদি দোষ কারোর থেকে থাকে সেটা আমার আমি যদি তোকে আস্কারা না দিতাম তুই আমাকে এত ভালবাসতিনা আর ভাল না বাসলে আমার জন্য মরতেও চাইতি না তাই ভুল কারো থাকলে সেটা আমার।সবকিছুর পরেও তোর এই পাগলামি আমাকে সফলতা এনে দিয়েছে তাই নিজেকে দোষী ভাবিস না উপড় ওয়ালা যা করেন ভালর জন্যই করেন।

মেঘলাঃ সত্যিই আমার কোন দোষ নেই?

আকাশঃ মেঘলাকে জড়িয়ে ধরে বলল না নেই

মেঘলাঃ তোর মত করে আমাকে কেউ শান্তনা দিতে পারে না রে ভাইয়া কিছুক্ষন আগে পর্যন্ত নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছিল এখন মনে হচ্ছে আমি এই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখি মানুষ।

আকাশঃ পাগলি একটা আই লাভ ইউ..

মেঘলাঃ আই লাভ ইউ টু।

অফিস থেকে ২ জন এক সাথেই ফিরল,

আকাশঃ শোন এমন চুপচাপ মন মরা মেয়ে কিন্তু আমার একদম পছন্দ না তাই বলছ তুই আগের মজা করবি দুষ্টামি করবি আমি সেটাই চাই।

মেঘলাঃ করব না।

আকাশঃ ওমা কেন..??

মেঘলাঃ তোর মন মত হব কেন তুই কি আমার মন মত কাজ করিস?

আকাশঃকি করিনি?

মেঘলাঃ আমাকে আদর করিস নি।

আকাশঃ তাই নাকি বেবি..?? দুষ্ট হাসি দিয়ে।

মেঘলাঃ এই আদর সেই আদর না।
কপালে আদর করে দে।

আকাশ মেঘলার কপালে চুমু এঁকে দিয়ে বলল সারাদিন অনেক ধকল গিয়েছে এবার গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বিশ্রাম নে।

আকাশ মেঘলা কে পাঠিয়ে দিয়ে নিজের ঘরে আসতেই
চিৎকারের আওয়াজ ভেসে…

মেঘলাঃ আ আ আ….ভাইয়া

আকাশঃ মেঘলার আওয়াজ না..?? আবার কি হল এভাবে ডাকল কেন? কোন অঘটন ঘটিয়েছে নিশ্চুই ভেবে আকাশ মেঘলার ঘরের দিকে ছোটল

চলবে

Leave a Comment