Golperjogot

Golperjogot

ভিলেন পর্ব 67 – থ্রিলার প্রেমের গল্প | Romantic Love Story

ভিলেন
পার্টঃ৬৭
লেখনীঃ মনা

আকাশ অফিসে চলে যাওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই আকাশের বাবা মা এসে হাজির হল বাসায়।

যদিও গার্ডস তাদের বাঁধা দিয়েছিল কিন্তু আকাশের বাবা মা সেসবের তোয়াক্কা না করে উপড়ে গেলেন।

গার্ডস সাথে সাথে আকাশ কে ফোন করে জানাল।

আকাশ নাবিল কে ফোন দিল,
হ্যালো নাবিল এখনী একবার বাংলোতে যা।
মা বাবা নাকি ওখানে গিয়েছে, মেঘলা যে পরিমান গাধা কোন প্রশ্নের উত্তর তো দিতেই পারবে না শুধু শুধু ঝারি খাবে। মা কে তো চিনিস হাজারটা কথা শুনাবে বেচারি কোন উত্তর দিতে পারবে না।

নাবিলঃ তো তুই যা আমাকে বলছিস কেন?

আকাশঃ জানিসেই তো আমি মা বাবার সাথে তর্ক করতে পারি না। আমি তাদের না জানিয়ে বিয়ে করেছি এটা শুনলে মা হয়ত কান্নাকাটি করবে সিনক্রিয়েট করবে আমার সেটা ভাল লাগবে না।

নাবিলঃ আচ্ছা বুঝেছি। যত ঝামেলা আছে আমার ঘাড়ে না চাপালে তো তোর শান্তি হয় না।

আকাশঃ যা সত্যি তাই বলবি শুধু মেঘলাটাকে বকা খাওয়াস না প্লিজ বেচারি আমার বকা খেতে খেতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।

নাবিলঃ ওরে আমার ভালবাসারে। তোর অদ্ভুত ভালবাসার ধরন দেখলে গাঁ জ্বলে যায় একেবারে।
এদিকে আমি যে বড় বাবার মুখে মুখে কি বলব তার কোন হোস নেই? আর একজন তো আছেই মেঘলার নাম মেঘলা না রেখে সমস্যার গোডাউন রাখা উচিত ছিল।

আকাশঃ উম নাবিল দশ টা না পাঁচ টা একটাই বউ আমার আর তুই তাকে সমস্যা বলছিস?

নাবিলঃ শুধু সমস্যা না সমস্যার গোডাউন তোর বউ।আচ্ছা ছাড় আমি যাচ্ছি বলে ফোন কাটল নাবিল।

আকাশঃ অপেক্ষা কর নাবিল কোন একদিন আমিও তোর জন্য কিছু করে দেখাব।

এদিকে,
আকাশের মা ঘরে ঢুকে দেখলেন মেঘলা সোফায় বসে বই পড়ছে। দেখে উনার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল।
আকাশের মা গিয়েই চেঁচিয়ে উঠলেন,

আকাশের মাঃ মেঘলা তোর লজ্জা বলতে কিছু নেই এত কিছুর পরেও তুই আবার এখানে আসলি কি করে?

আকাশের বাবাঃ ঠিক বলেছো শুনেছি তোর নাকি কাল বিয়ে হয়েছিল তুই শ্বশুড়বাড়ি যাওয়ার সময় সেখান থেকে পালিয়ে এসেছিস। কেন রে? পালানোর হলে বিয়ের আগেই আসতি।

মেঘলা অবাক হয়ে বলল আমি পালিয়ে এসেছি?

আকাশের মাঃ তা নয়ত কি এত কিছুর পরেও আকাশ তোকে নিয়ে এসেছে সেটা কেউ বিশ্বাস করবে,? বিয়ে করেছিস তো করেছিস এখম আবার আমার ছেলেটার জীবন টা কেন ধ্বংস করতে চাইছিস?

আকাশের বাবাঃ দেখ মা বিয়ে ছেলে খেলা না তোর বিয়ে হয়ে গিয়েছে সেটা তোর বুঝতে হবে। আমাদের একটাই ছেলে ওকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন তুই এভাবে আমাদের স্বপ্ন গুলো ভেঙে দিস না।

নাবিলঃ ওর এত ক্ষমতা কোথায় যে তোমাদের স্বপ্ন ভাঙবে হাঁফাতে হাঁফাতে কথাগুলি বলল নাবিল।

আকাশের মাঃ এই যে আর একজন এসেছেন উনার চোখে তো মেঘলার কোন দোষেই চোখে পড়ে না।

নাবিলঃ একটু পানি খাওয়ার সময় দাও তার পর সব বলছি।

মেঘলাঃ ভাইয়া এভাবে হাঁফাচ্ছিস কেন?

নাবিলঃ রীতিমতো ছুটতে ছুটতে এসেছি তাই।

আকাশের মাঃ তুই আর কি বলবি মেঘলার চামচামি করবি এই তো।

নাবিলঃ হ্যা সেটা করার জন্যই ছুটে এসেছি।

আকাশের বাবাঃ তোর কোন কথায় আজ আমি শুনব না নাবিল মেঘলা যা সব শুরু করেছে এরপর আমি আর কিছু মানতে পারছি না।এতই যদি ভালাবাসা ছিল বিয়ে কেন করল আর বিয়ে যখন করলই তখন আবার এখানে আসল কেন?

আকাশের মাঃ তোর যখন এই দরদ তাহলে তুই বিয়ে কর না মেঘলাকে নিষেধ করেছে কে?

নাবিলঃ হ্যা করেই ফেলতাম যদি না আমার আকাশ নামক একটা পাগল বন্ধু না থাকত।
নাবিল এবার মেঘলার দিকে তাকিয়ে বলল
গাধার মত দাঁড়িয়ে আছিস কেন? তুই এখানে নিজে থেকে এখানে এসেছিস?

মেঘলা না সূচক মাথা নাড়ল।

নাবিলঃ তাহলে কিছু বলছিস না কেন? আমারা কিছু বললে তো মুখে খই ফুটে।আচ্ছা ছাড় কিছু বলতে হবে না আমাকে এক গ্লাস পানি দে।

মেঘলা পানি নিয়ে সোফার টেবিল ঘেঁষে বেরিয়ে আসতেই পায়ের শিকল টা সামনে আসল। আকাশের মা বাবা দুজনই অবাক হল।

নাবিলঃ এখনো বলো মেঘলা নিজের ইচ্ছায় এসেছে।কি হল বড় মা বলো।

আকাশের বাবাঃ এসবের মানে কি?

নাবিলঃ মানে টা হল আকাশ মেঘলাকে জোর করে তুলে এনেছে আর জোর করে আটকে রেখেছে বাইরে যে গার্ড দেখেছো সেসব ও মেঘলার জন্য যেন ও পালাতে না পারে।

আকাশের বাবাঃ কিন্তু আকাশ এমন করছে কেন?

নাবিলঃ সেটা আমাকে জিজ্ঞাস না করে আকাশ কে জিজ্ঞাসা করো কিন্তু এইটুকু যেনে নাও মেঘলা সাথে যা যা হচ্ছে সব কিছু আকাশের ইচ্ছায় হচ্ছে মেঘলার না।তাই শুধু শুধু ওকে বকা দিও না।
আকাশ রাতে বাসায় যাবে তখন এই বিষয়ে ওর সাথে কথা বলে নিও এখন চলো এখান থেকে।

সব কিছু শুনে আকাশের বাবা অবাক হলেও রুবিনা বেগম তেলে বেগুলে জ্বলে উঠলেন।

আকাশের মাঃ হ্যা এবার যা বলার আকাশ কেই বলব।খুব বাড় বেড়েছে ছেলের।

নাবিলঃ এখন চলো।

আকাশের মা বাবা ফিরে যাচ্ছিলেন পিছন থেকে মেঘলা আকাশের মাকে ডাকলেন।

নাবিলঃ আবার কি হল? সমস্যা তৈরি না করলে তোর ভাল লাগে না তাই না?

মেঘলাঃ বড় মার সাথে আমার কয়েক টা কথা আছে তুই বড় বাবাকে নিয়ে যা প্লিজ

নাবিল আর কিছু না বলে চলে গেল সাথে আকাশের বাবাও।

মেঘলাঃ বড় মা তুমি যা যা বলেছো আমি সব করেছি কিন্তু ভাইয়া কিছুই শুনতে রাজি না দেখো কিভাবে আটকে রেখেছে আমি রাতে পালাতে চেয়েছিলাম কিন্তু পারি নি আমার কোন দোষ নেই বিশ্বাস করো।

আকাশের মাঃ একদম ন্যাকামি করবি না এসব তোর নাটক। বুঝি না কিছু মনে করেছিস? তুই আকাশ কে সব বলে দিয়েছিস তাই না? সে জন্যই ও তোকে তুলে এনেছে। তা নাহলে এত কিছুর পরেও কোন ছেলে কোন মেয়েকে মেনে নিবে নাকি?

মেঘলাঃ আমি কিছুই বলি নি।
ভাইয়া আমাকে সত্যিই ভালবাসে আর যেখানে মনের টান থাকে সেখানে বাহ্যিক কাহিনী জায়গা পায় না। আমি যেখানে যেই অবস্থাতেই থাকি না কেন ও আমাকে একই ভাবে ভালবেসে যাবে। আমার এমন অবাধ্য আচারনের জন্য ও কষ্ট পাচ্ছে বড় মা।ওকে আর কষ্ট দিও না প্লিজ। আমাকে ওর সাথে থাকতে দাও প্লিজ।এমনিতেও আমি যেতে চাইলেও ও আমাকে যেতে দিবে না শুধু শুধু কষ্ট পাবে।

আকাশেরঃ মা আমি সেটাই চাই কষ্ট পেয়ে তোকে ছেড়ে দিক।

মেঘলাঃ একজন মা হয়ে নিজের ছেলেকে কষ্ট দিতে চাও কেমন মা তুমি?মেয়ে হয়ে অন্য একটা মেয়ের দুর্বলতা নিয়ে ব্লেকমেইল করো কেমন মেয়ে তুমি
ছিঃ ছিঃ তোমার লজ্জা হওয়া উচিত।তোমাকে বড় মা বলতে ঘৃনা হচ্ছে আমার।

আকাশের মাঃ চুপ একদম চুপ শোন আমার ছেলের ভাল আমার যে বেশি কেউ বুঝে না।তোর কি যোগ্যতা আছে আকাশের বউ হওয়ার? আজ পর্যন্ত কোন সুখ দিতে পেরেছিস আকাশ কে সারাক্ষন জ্বালিয়ে মারিস। সারাজীবন তোর সাথে থাকলে আকাশ পাগল হয়ে যাবে। মা হয়ে আমি সেটা চেয়ে চেয়ে দেখব?




আকাশের মা মেঘলার সাথে আরও বেশ অনেক্ষন কথা বলে বাইরে আসল।

নাবিলঃ তোমরা এতক্ষন কি বলছিলে..??

আকাশের মাঃ তোর সবকিছুতে ওস্তাদি করতে হবে না চল এখন।

আকাশের মা বাবা চলে গেলেন সাথে নাবিল কেও নিয়ে গেল।




রাতে আকাশ বাসায় ফিরল। কিন্তু
বাসায় ঢুকে আকাশ অবাক হল কারন সেখানে কোন গার্ডস নেই সে আর দেরি না করে বাসায় ডুকল তাতে ২য় দফায় অবাক হল আকাশ কারন সারাঘর অন্ধকার…

আকাশঃ আজব ব্যাপার লাইট অফ কেন আর গার্ডসগুলিই বা কোথায়…??
পরক্ষনেই মনে পড়ল মেঘলা অন্ধকার ভয় পায় আকাশ আর সাত পাঁচ না ভেবে দৌড়ে উপড়ের ঘরে ঢুকে লাইট অন করল।কিন্তু দেখল মেঘলার পায়ের শিকল টা খালি পড়ে আছে আকাশ এদিক ওদিক মেঘলাকে খুঁজতে লাগল কিন্তু বাড়ির কোথাও মেঘলা নেই।

আকাশঃ মেঘলা কি তবে আবার পালিয়ে গেল? এতকিছুর পরেও ও এটা করতে পারল…?? কিন্তু গার্ডসগুলি কোথায় গেল এতগুলি গার্ডস কে ফাঁকি দিয়ে মেঘলা কিভাবে পালাবে? নাকি মেঘলা পালিয়েছে বলে গার্ডসগুলি ভয়ে পালিয়েছে।
মা বাবা কি মেঘলাকে কিছু বলেছে? কিন্তু নাবিল থাকতে কি করে বলবে?

আকাশ নাবিল কে ফোন দিল।

আকাশঃ নাবিল মা বাবা মেঘলাকে কি বলেছিল?

নাবিলঃ কই তেমন কিছু না ত কেন আবার কিছু হয়েছে?

আকাশঃ না তেমন কিছু না। মেঘলা পালিয়েছে সেটা নাবিল কে জানাল না কারন এটা তার জন্য অপমানজনক মনে হল।

নাবিলঃ তবে মেঘলা ঘরে দরজা বন্ধ করে বড় মার সাথে অনেক্ষন কথা বলেছিল।

আকাশঃ কি…?? আমাকে আগে বলিস নি কেন?

নাবিলঃ এতটা গুরুত্ব দেই নি।

আকাশ কিছু না বলে ফোন কেটে দিল।

আকাশঃ তবে কি মা মেঘলাকে কিছু বলেছে? কিন্তু কি বলবে মা নিশ্চুই আমি কষ্ট পাই এমন কিছু করবে না কিন্তু তাহলে মেঘলা পালাল কেন কিভাবেই বা পালাল নানা রকম চিন্তা ভর করল আকাশের মাথায়। মন টা এতটাই খারাপ হলো যে আকাশের শরীর চলছে না।

আকাশঃ আমি তোর জন্য কি করি নি মেঘলা তবুও কেন আমাকে এত আঘাত করিস? তুই আমাকে কবে বুঝবি?
না অনেক হয়েছে এই খেলা আর না যা মেঘলা তোকে আর আমি আটকান না তুই যেহেতু আমাকে চাস না আমি আর তোর জীবনে কাঁটা হয়ে দাঁড়াব না।
আজ থেকে ভুলে যাব মেঘলা নামের কাউকে আমি চিনতাম তুই আজ থেকে মুক্ত। মনের ঘর শুন্য করে আজ তোকে মুক্ত করে দিলাম কথাগুলি ভেবে আকাশ আর চোখের পানি ধরে রাখতে পারল না গাল গড়িয়ে ২ ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়তেই বাসার কলিং বেল বেজে উঠল।

যদিও আকাশ মেঘলাকে মুক্তি দেয়ার কথা বলেছে কিন্তু কলিং বেলে শব্দে তার মনে নতুন আশার সঞ্চার হল দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলল।
আকাশের বিশ্বাস ছিল গার্ডস রা মেঘলাকে ধরে এনেছে কিন্তু না ১জন লোক এসে বলল আকাশের নামে একটা পার্সেল আছে।

আকাশঃ পার্সেল…?? কে পাটিয়েছে..??

লোকটিঃ প্রেরকের নাম দেয়া নেই স্যার আপনি সাইন করে দেখে নিন হয়ত পার্সেল টা দেখে বুঝতে পারবেন কে পাঠিয়েছে।

আকাশ সাইন করে দিল।

লোকটিঃ এই স্যারের পার্সেল টা নিয়ে এসো।

লোকটি বলতেই ২ জন লোক বেশ বড় আকারের একটি বক্স নিয়ে এসে বাসাত ভিতরে রাখল।

আকাশঃ আর ইউ সিওর এটা আমার..??

লোকটিঃ জ্বি স্যার আপনার।

আকাশঃ এত বড় বক্স আমাকে কে পাঠিয়েছে? কি আছে এতে

লোকটিঃ আপনিই দেখে নিন আমরা আবার আসি স্যার।

আকাশঃ আরে শুনোন আপনাদের হয়ত ভুল হচ্ছে….

লোকগুলি কথা না শুনেই চলে গেল।

আকাশ একরাশ বিরক্তি নিয়ে এসে বক্সটি খোলল।

খুলে আকাশ অবাকে সপ্তম আকাশে উড়াল দিল।
কারন বক্সের ভিতর লাল টুকটুকে শাড়ি পরে ঘোমটা টেনে বসে আছে একটি মেয়ে।

আকাশঃ এটা পুতুল নাকি মানুষ? মানুষ কি করে হবে মানুষ কি বক্সে থাকতে পারে.?

আকাশ অধীর কৌতুহল নিয়ে নিচে বসে ঘোমটা তুলতেই ২ টি চোখ তার দিকে তাকিয়ে পিটপিট করে উঠল।

আকাশ রীতিমত ভয় পেয়ে পিছেয়ে গেল।

মেঘলাঃ আমাকে কি এতই খারাপ দেখাচ্ছে নাকি যে ভুত দেখার মত চমকে উঠলি।

আকাশ খুশি হয়েছে নাকি অবাক হয়েছে সেটা সে নিজেই বুঝতে পারল না হতভম্ব হয়ে বলল

– এসব কি…??

মেঘলাঃ কি মানে আপনার বউ কে আপনার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

আকাশের ব্যাপার টা এখনো বোধগম্য হল না।

মেঘলাঃ কিরে আমাকে ভাল দেখাচ্ছে না? কত কষ্ট করে সেজেছি জানিস তোর বাসায় তো একটা লিপস্টিক ও নেই।তারউপড় পায়ের শিকল খুলতে খুলতে সারা বেলা কেটে গেল।

আকাশঃ তুই শিকল ও খুলতে পারিস?

মেঘলা বত্রিশ দাঁত বের করে বল হুম আমি সব পারি।

আকাশঃ তাত দেখতেই পাচ্ছি তানাহলে কেউ পুতুল সেজে গিফট বক্সে বসে থাকবে সেটা তো কেউ কখনো ভাবতেও পারবে না এমন উদ্ভট কর্মকান্ড তোর পক্ষেই এসব সম্ভব।

মেঘলাঃ তুই খুশি হোস নি..??

আকাশঃ আমার খুশি হওয়ার কথা ছিল নাকি?

মেঘলাঃ আজব আমি তোর জন্য বউ সাজলাম

আকাশঃ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে না বলে কিসের বায়না করবি সরাসরি বলে ফেল।তুই যে স্বার্থ ছাড়া এত সময় নষ্ট করিস নি সেটা না বুঝার মত বোকা আমি না বলে শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে আকাশ উপড়ে চলে গেল।

মেঘলাঃ এত কস্ট করে এত প্লেন করে ওকে সারপ্রাইজ দিলাম আর ওর কোন রিয়েকশান এই নেই এটা মানুষ নাকি সাইকেল? ধুর রাগে উদাহরন টাও ঠিক মত দিতে পারি নি এটা মানুষ নাকি রোবট?

মেঘলা গাল ফুলিয়ে আকাশের ঘরে গেল।

আকাশ ড্রেস চেঞ্জ করতে করতে কয়েকবার মেঘলার দিকে দেখল সে ক্রমান্বয়ে গাল ফুলিয়ে চলেছে।

আকাশঃ এবার তো ফেটে যাবে এত গাল ফুলানোর কি হল সেটাই তো বুঝলাম না।

মেঘলাঃ কোথায় তুই খুশি হবি খুশি হয়ে বলবি বউ চলো তোমাকে আইস্ক্রিম কিনে দেই তা না কোন হেল দুলেই নেই।

আকাশঃ হা হা হা….

মেঘলাঃ হার্টলেস

আকাশঃ থ্যাংক্স গড আমি হার্টলেস।

মেঘলাঃ হু হু লাগবে না তোর আইস্ক্রিম আমি নিজেই কিনতে পারি।

আকাশঃ এত রাতে হার্টলেস আপনাকে বাইরে যেতে দিবে না ম্যাডাম। এদিকে আসুন আর ঘটনা কি খুলে বলুন হটাৎ এত আদিখ্যেতার কারন কি..??



চলবে…!!!

Leave a Comment