Golperjogot

Golperjogot

ভিলেন পর্ব 76- প্রেমের গল্প | Romantic Premer Golpo

ভিলেন
পার্টঃ৭৬
লেখনীতেঃমনা হোসাইন

সকাল হতে না হতেই বাসায় মেহমানদের আসা শুরু হলো। সবাই সকাল সকাল উঠে গিয়েছে।

সকাল ৭.৩০ টা
সবাই নাস্তা করতে বসেছে আকাশ ও এসে খেতে বসল।
নাবিলের মাঃ কি রে একা আসলি যে মেঘলা কোথায়?

আকাশঃকোথায় আবার থাকবে ঘুমাচ্ছে নিশ্চয়ই

নাবেলের মাঃআরে বাবা ডেকে আনবি না খাবে না?এরপর সবাই ত ব্যাস্ত হয়ে পড়বে।

আকাশঃ ঘুমাচ্ছে ঘুমাক ঘুম থেকে উঠে খাবে

নাবিলের মাঃ একটু পর মেহমানে ভরে যাবে তখন আর খাবারেই পাবেনা ক্যাটারিং এর লোকজন আসার আগ পর্যন্ত আর কোন রান্না হবেনা তখন দেখবি এই রান্না মেহমান রা সব খেয়ে ফেলেছে মেঘলার জন্য আর কোন খাবারেই থাকে থাকবেনা।

আকাশঃ আমি খেয়ে নিয়ে যাচ্ছি।বলে খাওয়া শুরু করল।

আকাশের দূর সম্পর্কের একজন ফুফুও খেতে বসেছিল আকাশের কথা শুনে প্রশ্ন করে বসল।

_মেঘলা কে গো শাহানা আকাশ কি বিয়ে টিয়ে করে ফেলেছে নাকি? শেষে কিনা কাউকে না জানিয়ে পালিয়ে বিয়ে করল হায় রে কপাল বাপ মার একটাই ছেলে সেও কিনা বাবা মার কষ্ট বুঝল না।

নাবিলের মাঃ না মানে…

নাবিলঃ উফফ মা তুমিও না কি মানে মানে করছো…??
আসলে ফুফু তোমার ত বয়স হয়েছে তাই হয়ত ভুলে গিয়েছো নীলু নামের তোমার একটা বোন ছিল মেঘলা তারেই মেয়ে…

ফুফুঃ তাই বল আমি ভাবলাম কাওকে না জানিয়ে বিয়ে টিয়ে করে ফেলেছে।

আকাশঃ তুই ও তো উল্টা পাল্টা উত্তর দিচ্ছিস নাবিল।ফুফু মেঘলা ত জন্মের পর থেকেই আমার বউ। এ আবার নতুন কি ছোট মা খাবার টা দাও বলে আকাশ খাবার নিয়ে চলে গেল।



আকাশঃ ওই উঠ…

মেঘলা ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে আকাশকে থেকেই লাফ দিয়ে উঠে বসল…

মেঘলাঃ ত ত তুই এই ঘরে কি করছিস…??

আকাশঃ এমনভাবে বলছিস যেন আমি এই ঘরের কখনো আসেনি?

মেঘলা আমি গতকাল নিষেধ করেছিলাম আমার চোখের সামনে আসতে। আর সকাল হতে না হতেই চলে এসেছিস রুম থেকে বের হ আমি তোর মুখ দেখতে চাই না…

আকাশঃ আরে বাবা কতবার বলবো আমি ইচ্ছে করে করিনি এটা জাস্ট একটা মিসটেক

মেঘলাঃ মিথ্যে বলছিস আমি জানি তাই ইচ্ছে করে করেছিস তুই কি রুম থেকে বের হবে না আমি চলে যাব

আকাশঃ পাগলামি করিস না বাসায় অনেক লোকজন এসেছে সিনক্রিয়েট করলে সবাই খারাপ ভাববে

মেঘলা আর কোনো কিছু না বলে সোজা ওয়াশ রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিল।

আকাশঃ মেঘলা বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু.
দরজা খোল তাড়াতাড়ি কি হচ্ছে এসব?

মেঘলাঃ তোর কি লজ্জা নেই? অন্য ছেলে হলে লজ্জায় মুখ দেখাতে পারত না। তোর লজ্জা না থাকলেও আমার আছে আমি তোর চোখের সামনে আসতে চাই না তাই বলছি রুম থেকে বের হ তুই
তানাহলে আমি ওয়াশ রুম থেকে বের হবো না।

আকাশঃ আচ্ছা বাবা চলে যাচ্ছি খাবারটা খেয়ে নিস বলে রাগে গজগজ করতে করতে চলে গেল আকাশ।

আকাশ মুখ ভার করে নিজের ঘরে যেতে চাইল তার আগেই নাবিল আকাশ কে আটকে দিল।

নাবিলঃ কি হয়েছে বল তো..?? আবার ঝগড়া?

আকাশঃ না ঝগড়া আসলে…

নাবিলঃ আসলে কি…

আকাশঃ কাল রাতে…আমি মানে… ধুর বাবা এসব আমি বলতে পারব না। তবে যাই হয়েছে ভাল হয় নি মেঘলার রাগ করার কারন আছে তাই করেছে আমি সত্যিই মিস্টেইক করেছি।তুই মেঘলাকে একটু বুঝিয়ে বলবি প্লিজ।

নাবিলঃ কি মানে মানে করছিস?আরে ভাই ঘটাতে পেরেছিস বলতে পারবি না কেন? আর না বললে সমাধান করব কি করে?

আকাশঃ কাল রাতে আমি লাইট অফ করে ঘুমিয়েছি। হটাৎ বুঝতে পারলাম আমার পাশে কেউ শুয়েছে আমি ভাবলাম তুই তাই হাত দিলাম কিন্তু সেটা ত তুই ছিলি না মেঘলা ছিল সে জন্যেই এখন মেঘলা রাগ করেছে।

নাবিলঃ বুঝলাম না এতে রাগ করার কি আছে..??অই বাসায় ত তোরা একসাথেই ঘুমাতি।

আকাশঃ আরে ভাই তুই ত দেখছি কিছুই বুঝিস না আমি মেঘলার সেন্সিটিভ জায়গায় দিয়ে ফেলেছি তবে বিশ্বাস কর আমি ইচ্ছে করে দেই নি অন্ধকারে আমি বুঝতে পারি নি।

নাবিলঃ আজব তো এটা কি তোর প্রেমিকা নাকি যে এটা নিয়ে রাগারাগি হবে?বউয়ের গায়ে হাত দেয় না এমন কোন ছেলে আছে?

আকাশঃ আছে এই যে তোর সামনে জলজ্যান্ত দাঁড়িয়ে আছে।আমি মেঘলার গায়ে হাত দেয়া ত দূর ভাল করে কোনদিন তাকিয়েও দেখি নি।

নাবিলঃ আর হাসাস না তো বাচ্চা কি তাহলে উড়ে উড়ে এসেছে?

আকাশঃ অনেক টা তাই..এটাকে এক্সিডেন্ট বলতে পারিস আমি রাগে কি করেছি জানি না আর মেঘলার ত ইচ্ছায় ছিল না। বাস্তবিক অর্থে আমাদের মাঝে স্বামি স্ত্রীর যে একটা মিষ্টি সম্পর্ক সেটা গড়ে উঠেনি। মেঘলা আমাকে লজ্জা পায় নাকি ভয় পায় সেটাই বুঝি না।

নাবিলঃ এতক্ষনে বুঝলাম মেঘলা তোকে এখনো ভাইয়া কেন ডাকে।শালা ওর লজ্জা না ভাংগালে ও তোকে স্বামি হিসেবে মানবে কেন? ওর লজ্জা ভাংগানোর দায়িত্ব কার?

আকাশঃ আমার?

নাবিলঃ তো কি আমার..?? যাব নাকি ভেঙে দিয়ে আসি।

আকাশঃ উফফ মজা করিস না তো এখন কি করব সেটা বল।

নাবিলঃ মেঘলার লজ্জা ভেংগে ওকে আপন করে নেয়ার দায়িত্ব তো তোরেই।ওকে তোর বুঝাতে হবে তুই ওর ভাই না স্বামী।

আকাশঃ ঠিক বলেছিস আমি এখনী যাচ্ছি।

নাবিলঃ হুম যা…

আকাশ যেতে গিয়েও ফিরে আসল।

নাবিলঃ আবার কি হল

আকাশঃদোস্ত আমার নিজেরো তো আনইজি লাগে…

নাবিলঃ হা হা হা আকাশ নিজের বউকে আদর করতে লজ্জা পাচ্ছে বাহ এটা তো নিউজ পেপারে দেয়ার মত ঘটনা।

আকাশঃ নার্ভাস লাগছে।

নাবিলঃ ঠিক আছে তাহলে তুই থাক আমি যাচ্ছি পরে আবার দোষ দিস না।

আকাশঃ এই না আমি নিজেই যাচ্ছি

নাবিল হাসতে হাসতে নিচে চলে আসল আর আকাশ মেঘলার ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিল।

মেঘলাঃ তুই আবার চলেছিস…?? কেন এসেছিস বল?

আকাশঃ বুঝাতে এসেছি আমি তোর ভাই না বর?

মেঘলাঃ আজব…ভাই হলেই কি আর বর হলেই কি মানুষ তো একটাই তাই না?
একি তুই আমার দিকে এগিয়ে আসছিস কেন?

আকাশ মেঘলাকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত ভাল করে দেখতে লাগল।

মেঘলা ২ হাতে নিজেকে আড়াল করার বৃথা চেষ্টা করে বলে উঠল এটা কি ধরনের চাহনী।

আকাশঃ বড় হওয়ার পর ভাল করে কোন দিন দেখিনি তাই দেখছি…বেশ সুন্দর দেখতে হয়েছিস ত তুই

মেঘলাঃ একেই বলে সাত খন্ড রামায়ন সীতা কার বাপ..আমি ছোট থেকেই কিউট বুঝেছিস?

আকাশ হাত বাড়িয়ে মেঘলাকে আস্তে করে নিজের সাথে মিশিয়ে দিয়ে বলল…
আমি কেমন সুন্দরের কথা বলছি তুই বুঝিস নি?ব্যাপার না আমি বুঝিয়ে দিব।এই সৌন্দর্য ছোটদের থাকে না বুঝেছিস? আচ্ছা আমি আগে কেন দেখি নি বলতো?কতকিছু মিস করে গেলাম

মেঘলাঃ এখানে ছোট বড়র কি আছে আমার দিকে এভাবে তাকবি না বুঝেছিস বাজে ছেলে কোথাকার…

আকাশঃ তুই আমার বউ মেঘলা তোর শরীরে হাত দেয়ার অধিকার আমার আছে।

মেঘলাঃ ইডিয়েট কাল অসভ্যতা করে শান্তি হয় নি আজ আবার শুরু করেছিস দাঁড়া আজ তোর হচ্ছে।

আকাশঃ কি এমন করেছি…..?এখন তার চেয়েও বেশি কিছু করব কালকের টা ছিল অনিচ্ছাকৃত আজকের টা ইচ্ছাকৃত।

মেঘলাঃ তুই নিশ্চিত ড্রিংকস করেছিস তানাহলে এমন নির্লজ্জের মত কথা বলতি না। ছাড় আমাকে মেঘলা আকাশ কে ছাড়িয়ে দিয়েই দৌড়।

দরজার বাইরে গিয়ে মুখ বের করে বলে উঠল এবার দেখব তুই আমাকে কোথায় পাস।

আকাশ বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে…
আকাশঃ এই মেঘলা কি আদো কোনদিন স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক বুঝবে..?? আমাকে ভাইয়ার চোখে দেখা ট বাদ দিতে পারবে?

মেঘলাঃ তুই এমন কেন করছিস? আমি জানি তুই আমার কাছ থেকে কি চাস কিন্তু আমি যে মা হতে চলেছি আমি কি করে তোর ইচ্ছা পূরন করব?
আমি জানি তোকে এখন আমি লায় দিলে তুই নিজের কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলতি তাই চলে আসতে বাধ্য হলাম।তাও স্বাভাবিক প্রেগ্ন্যাসি হলে কোনো সমস্যা ছিল না কিন্তু আমার ক্ষেত্রে ত তা নয় সরি রে আমি যে কোনভাবেই আমার বাচ্চার ক্ষতি হতে দিতে পারব না ক্ষমা করে দিস।



সারাদিন কেটে গিয়েছে মেঘলা একবারো আকাশের সামনে আসে নি।

আকাশঃ আমার এসব করা ঠিক হয় নি।মেঘলার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।বেচারি আমাকে ভয় পাক আমি সেটা চাই না। সারাটাদিনে একবার কথা পর্যন্ত বলে নি

গায়ে হলুদের স্টেজ সাজানোর পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথাগুলো ভাবছিল আকাশ এর মধ্যেই নেহা আকাশ কে ডাকল।

নেহাঃ এই ভাইয়া এদিকে আয় মেহেদী পরবি।

আকাশঃ আমি কি মেয়ে যে মেহেদী পরব?

নেহাঃ একটু পরলে কিছু হয় না আয় তো

এর মধ্যেই মেঘলা আসল আপু আমাকে একটা মেহেদী দাও তো

আকাশঃ বাহ মেঘলা এখানে আছে তাহলে ত যেতেই হয়। সারাদিন কথা হয় নি এখন একটু কথা বলতে পারব ভাবতে ভাবতে আকাশ গিয়ে নেহার পাশে বসল।
সাথে সাথে মেঘলা একটা মেহেদির প্যাকেট নিয়ে চলে যেতে চাইল।

মিলিঃ কিরে মেঘলা মেহেদী পরবি না?

মেঘলাঃ না

আকাশঃ এত জেদ? আমি এসেছি বলে চলে যেতে চাইছিস আচ্চা আমিও আর তোর চোখের সামনে আসব না।আকাশো মেহেদী না পরে চলে গেল।

রাত ১২ টা মেহেদী উৎসব শেষ এবার ঘুনানোর পালা যে যার মত জায়গা খুজে শুয়ে পড়েছে আকাশ সেই যে সন্ধা থেকেই ছাদে একবারের জন্যেক নিচে আসে নি আজ অনেকদিন পর বন্ধুরা এসেছে তাই আড্ডা দিচ্ছে।নাবিল ও আছে।

আকাশঃ তোরা বোস আমি একটু খাবার নিয়ে আসি বলে নিচে নামে খাবার নিয়ে আবার যখন যাবে তখন মনে হল
আকাশঃ ছাদে বেশ ঠান্ডা ফুলহাতা একটা টিশার্ট পরে যাই ভেবে নিজের রুমে গেল গিয়ে অবাক হল কার৷ মেঘলা সেখানে বসে আছে।

আকাশঃ তুই এখানে কি করছিস?

মেঘলাঃ এতক্ষনে আসার সময় হল? কখন থেকে ওয়েট করছি

আকাশঃ তুই অপেক্ষা করছিস তাও আমার জন্য?

মেঘলাঃ হে আমার মেহেদী কে পরিয়ে দিবে? দেখতে পাচ্ছিস না হাত খালি

আকাশঃ আজব সবাই যখন বলছিল পরিস নি কেন?

মেঘলাঃ তোর হাতে পরব বলে

আকাশঃ মানে…

মেঘলাঃ এত মানে বুঝে কাজ নেই এদিকে আয় মেহেদী পড়িয়ে দে।

আকাশঃ ছেলেরা মেহেদী পড়াতে পারে নাকি?

মেঘলাঃ অবশ্যই পারে মানুষ চাইলে সব করতে পারে।

আকাশঃ আমি পারব না বন্ধুরা সবাই অপেক্ষা করছে।আমার যেতে পারব না মেহেদি পরানো টা আমার কাজ নয় এটা মেয়েদের কাজ।

মেঘলাঃ তারমানে আমার মেহেদী পড়া হবে না? কিন্তু আমি তোর হাতে পড়ব বলেই তো তখন পড়িনি।

আকাশঃপরিস নি কেন? এটা তোর ভুল আমি কি করতে পারি?

মেঘলাঃ তুই আমার সাথে রাগ দেখাচ্ছিস?

আকাশঃ আমি কি মেঘলা যে কারন ছাড়া রাগ করব? যা সত্যি তাই বলছি আমার যেতে হবে

মেঘলাঃ আমি কিন্তু কেঁদে দিব বলে কান্নার ভাব নিল।

আকাশ আচ্ছা বাবা দেখি হাত দে পরিয়ে দিচ্ছি। তবে এত ডিজাইন করতে পারবোনা তাড়াতাড়ি দে যা পারি করে দিয়ে চলে যাচ্ছি।

মেঘলা হাত বাড়িয়ে দিল। আকাশেও মেহেদী হাতে লাগাতে শুরু করলো

মেঘলাঃ একটা হার্ট এঁকে তার ভিতরে am লিখে দে।

আকাশঃ মানে…? am pm তো ঘড়ির ভিতরে হয় হার্টের ভিতরে কেন?

মেঘলা কাঁদোকাঁদো হয়ে বলল তুই আমাকে ইচ্ছে করে কাঁদাতে চাইছিস?

আকাশ মুচকি হেসে নিজের ফোনটা বের করে মেঘলার হাতে দিয়ে বলল তুই গেম খেল আমি যা পারি করে দিচ্ছি।

মেঘলা আর কথা না বাড়িয়ে তাই করতে লাগল।
কিছুক্ষন পর
আকাশঃ দেখতো হয়েছে?

মেঘলা তাকিয়ে দেখল হাতে একটা লাভ তার ভিতরে সুন্দর করে লিখা আকাশ + মেঘলা।
মেঘলা হা করে তাকিয়ে আছে হাতের দিকে।

আকাশঃ এবার হ্যাপি..?? লিখলে পুরুটাই লিখব শুধু am কেন?এবার আমি যাই তুই চাইলে এখানেই থাকতে পারিস আমি রাতে আসব না।

মেঘলাঃ মানে কি।

আকাশঃ ফ্রেন্ডরা এসেছে বল্লাম না..?? ওদের সাথে সময় দিতে হবে।

মেঘলাঃ হা হা হা কি মজা তাই না…?? এদিকে একটু আয়…

আকাশঃ কি হয়েছে বল…??

মেঘলা তার মেহেদী পরা হাত টা আকাশের হাতে ধরিয়ে দিল।

আকাশঃ কি হল..??

মেঘলাঃআমার ঘুম পেয়েছে

আকাশঃ তো ঘুমা…

মেঘলাঃ হ্যা ঘুমাচ্ছি দেখিস মেহেদী যেন নষ্ট না হয়।

আকাশঃ মানে কি..??

মেঘলাঃ তুই এখন সারারাত আমার হাত ধরে বসে থাকবি যেন মেহেদী নষ্ট না হয়।

আকাশঃ আমার খেয়ে কাজ নেই?

মেঘলাঃ অবশ্যই আছে বউ এর মেহেদী পাহারা দেওয়াটা আপাতত তোর প্রথম কাজ।

আকাশঃ ইম্পসিবল সবাই আমার জন্য অপেক্ষা করছে।

মেঘলাঃ ঠিক আছে চলে যা তাহলে আমার আর ঘুমানো হবে না সারারাত জেগে থাকতে হবে।

আকাশঃ তুই আমাকে ইমোশনাল ব্লেকমেইল করতে চাচ্ছিস?

মেঘলাঃ না ত যা সত্যি তাই বল্লাম

আকাশঃ মেঘলা ফাযলামি করিস না কতদিন পর ওদের সাথে দেখা হয়েছে বল তো আমি না লেগে ওরা রাগ করবে

মেঘলাঃ এই ওরা তোর স্কুলের বন্ধু মানে নাবিল ভাইয়েরো বন্ধু তাই ওদের জন্য নাবিলই যথেষ্ট সো অযুহাত দিবি না।যেতে ইচ্ছে হলে চলে যা বাঁধা দিচ্ছি না তো।

আকাশ বাধ্য হয়ে মেঘলার পাশে বসল।
আকাশঃ নে ঘুমা… যাচ্ছি না আমি এবার খুশি..?? সেই ছোট থেকে আমাকে বন্ধুদের সাথে মিশতে দিস না কি আজব স্বভাব।

মেঘলাঃ আমার জিনিস অন্যজনকে কেন দিব রে বাই দা ওয়ে একটা সত্যি বলি আমি কিন্তু তোর উপড় রাগ করিনি তুই আজ আমাকে এটা ওটা কিছুই করতে দিতি না তাই রাগের অভিনয় করেছিলাম যাতে তোর বোরিং রুলস গুলো চাপিয়ে দিতে না পারিস।

আকাশঃ কি…?? তবে রে আজ তোকে আমি…

মেঘলা চোখ মিট মিট করে বলল সরি আপনার কাঙ্খিত ব্যাক্তিটি এখন ঘুমে আছে অনুগ্রহপূর্বক কিছুক্ষন পর আবার চেষ্টা করুন ধন্যবাদ। বলেই চোখ বন্ধ করে নিল।

আকাশঃ পারিস ও তুই…

মেঘলা আবার চোখ খোলে বলল মেহেদী যেন নস্ট না হয়। আর ঘুম থেকে উঠে যেন দেখি তুমি এখানেই আছো কোথাও যাও নি। বউ কে খুশি করা তোমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

আকাশঃ জু হুকুম ম্যাডাম

মেঘলা একগাল হেসে জবাব দিল ম্যাডাম নয় বউ লাভ ইউ আমার সুইট বর…

আকাশঃ ঘুমা পাগলি আমি কোথাও যাব না।


চলবে।

 

Leave a Comment