Golperjogot

Golperjogot

ভিলেন পর্ব 60 – থ্রিলার প্রেমের গল্প | Romantic Premer Golpo

ভিলেন পার্টঃ ৬০
Mona Hossain

আকাশঃ একেই হয়ত বলে সুখে থাকতে ভূতে কিলায় এতদিন জানতাম নিজের ভাল পাগলেও বুঝে এই প্রথম কাউকে দেখলাম যে নিজেই নিজের পায়ে কুড়াল মারে।আচ্ছা জেনি কোন লজিকে আপনি এটা করলেন?

মানে আপনি কি আদৌ সুস্থ? আমার ত মনে হয় না। যাই হোক আপনার কাছে কয়ফত চাওয়ার অধিকার আমার নেই, কেন করেছেন তার ব্যাখ্যাও শুনতে চাই না।
বাইরে যাওয়ার রাস্তাটা ওদিকে আসতে পারেন।

জেনিঃ স্যার আপনি আমাকে আপনি করে বলছেন কেন?

আকাশঃ কারন আজকের পর আমি আপনাকে চিনি না তাই। জীবনে অনেক বোকা দেখেছি আপনার মত দেখি নি। একটা কথা শুনোন আমি আপনাকে বাসায় এনেছিলাম আপনার জন্য না আপনার মায়ের জন্য কিন্তু আফসোস আপনি নিজেই সুযোগ টা কাজে লাগাতে পারলেন না।আপনি যা করেছেন যেনে বুঝে ঠান্ডা মাথায় করেছেন পুরোটাই গোছানো প্লেন ছিল তাই এবার নিজের রাস্তা নিজেই দেখে নিন।

জেনিঃ স্যার একটা সুযোগ দিন প্লিজ আর এমন হবে না।

আকাশঃ আপনি ছেলে হলে এতক্ষনে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতেন না আমি আপনার সাথে এখনো খারাপ কিছু করি নি এইটুকু ক্ষমা কি যথেষ্ট নয়..??

জেনিঃ স্যার আপনি ত আমার অবস্থা জানেন আপনি আমাকে বের করে দিলে আমি কোথায় যাব…??

আকাশঃ সেটা আমার জীবন নিয়ে টানাটানি করার আগে ভাবা উচিত ছিল না?

আকাশের মাঃ এত রাতে একটা মেয়ে কোথায় যাবে আকাশ? তুই এমন করতে পারিস না

আকাশঃ মা অন্যায় করা আর অন্যায়কে পশ্রয় দেয়া সমান কথা সেটা নিশ্চুই জানো।

আকাশের মাঃ ওকে এখন বের করে দিলে ওর সাথে যদি খারাপ কিছু ঘটে নিজেকে ক্ষমা করতে পারবি?

আকাশঃ ওর সাথে খারাপ কিছু ঘটলে তার দায় আমার হবে কেন? হ্যা এটা ঠিক আমি ওর মাকে কথা দিয়েছিলাম ওকে দেখে রাখব তারমানে এই না যে ও আমাকে মেরে ফেলার প্লেন করবে তারপরেও আমি ওর সাথে একই বাড়িতে থাকব আফটার অল জীবন বাঁচানো ফরজ।

আকাশের মাঃ ও কি এমন অন্যায় করেছে?

আকাশঃআমার আত্মাকে আমার থেকে আলাদা করতে চেয়েছে এরপরেও আমি ওকে এই বাড়িতে থাকতে দিব..

আকাশের মাঃ বাবা আমার কথাটা একটু শোন আজ রাত টা শুধু থাক কাল না হয় চলে যাবে।

আকাশঃ না কাল নয় আজ এই মুহুর্তে।
মা আমার দয়া মায়া কম সেটা জানই তবুও কেন বলছো? আর হ্যা মিস জেনি কাল থেকে আপনি আর অফিসে আসবেন না।

আকাশের মাঃ আজ জেনির জায়গায় মেঘলা থাকলে তুই এমন করতে পারতি..??

আকাশঃ অবশ্যই পারতাম বরং এতক্ষনে মেঘলার হাড়গুড় আসতো থাকত না। যাকে এত ভালবাসি তাকে মারতেও আমার খারাপ লাগে না আর এ তো বাইরের একজন।

আকাশের মাঃ তারমানে তুই ওকে বের করেই দিবি?

আকাশঃ এক কথা কতবার বলব পৃথিবী উল্টে গেলেও বের করে দিব।

মেঘলাঃ না দিবি না… ও এখানেই থাকবে

আকাশঃ বাহ বাংলা সিনেমার শাবানার আগমন ঘটেছে দেখছি এসে আবার ডায়লগ দেওয়াও শুরু করে দিয়েছে।

মেঘলাঃ চুপ থাক ও কি করেছে যে যেতে হবে যা করার তুই করেছিস যাওয়ার হলে তুই যা ও কোথাও যাবে না।

আকাশঃ জেনি আমি খুব বেশি রেগে যাওয়ার আগে বেরিয়ে যাও।

মেঘলাঃ এত রাতে ও কোথায় যাবে।

আকাশের মাঃ ঠিক বলেছিস মেঘলা তুই ওকে একটু বল যদি তোর কথা শুনে।

মেঘলাঃ ভাইয়া শোন না…

আকাশঃ হয়েছে আর না আচ্ছা তোদের যেহেতু এতই টেনশান তাহলে জেনিকে গার্ড দিতে তোরাও বেরিয়ে যা।

মেঘলাঃ মানে কি?

আকাশঃ তুই মা আর জেনি তিনজনেই এই মুহুর্তে বাসা থেকে বের হ আমার ঘুম পেয়েছে তোদের বের করে দিয়ে ঘুমাব।

আকাশের মাঃ আকাশ….???

আকাশঃ আমি ত জোর করছি না. মাকে বাসা থেকে বের করে দেয়ার মত খারাপ ছেলে আমি নই পুরোটাই তোমার সিধান্ত হয় উপড়ে যাও অথবা বাইরে।

আকাশের মা আর কিছু না বলে উপড়ে চলে গেলেন।

আকাশঃ জেনি প্লিজ আপনি আসুন।

জেনি আর কোন উপায় না দেখে বের হতে চাইল

মেঘলাঃ দাঁড়াও জেনি আমিও যাব।

আকাশঃ হুম প্লিজ আসুন আপনারা।

মেঘলা পা বাড়াতেই আকাশ তাকে কোলে তুলে নিয়ে উপড়ে যেতে লাগল।

মেঘলাঃ কি করছিস ছাড় এই ত বললি চলে যেতে।

আকাশঃ তোর জন্য বাসার দরজা বন্ধ মনে নেই?

মেঘলাঃ তুই ভেবেছিস তোর সাত খুন মাফ..?? নিজের দোষ ঢাকতে সাক্ষিকে বিদায় করে দিলি বাইরে ত ঠিকি রিলেশান রাখবি জানি না মনে করেছিস?

আকাশ কিছু না বলে টোপ করে মেঘলাকে কোল থেকে ফেলে দিল।

মেঘলাঃ আ…. কি করলি এটা..??

আকাশঃ তোর মত মেয়ের আগে গেলেও দোষ পিছে গেলেও দোষ ওকে রাখলে বলতি রিলেশান আছে তাই রেখে দিয়েছি এখন বলছিস লুকিয়ে রিলেশান করব তুই আসলে চাস টা কি..??

মেঘলাঃ মুক্তি…

আকাশঃ ছোট মা ও ছোট মা শোন এই হারামজাদিকে আজকে সত্যি সত্যি খেতে দিবা না।

মেঘলাঃ খেতে আমার বয়ে গেছে।
কি জল্লাদ কোমর টা ভেঙে দিল।

আকাশঃ এ এইটুকুতেই কোমর ভেঙে গেলে ত ভালই হত বিদায় হ এখান থেকে।

বলে আকাশ নিজের ঘরে চলে গেল।
মেঘলাও নিজের ঘরে চলে গেল।




পরদিন সকালে,
১০ টা বাজে ছুটির দিন হওয়ায় আকাশ একটু বেলা করেই ঘুম থেকে উঠে নিচে আসল।

আকাশঃ ছোট মা খাবার দাও সবাই খেয়ে ফেলেছে নাকি?

ছোট মাঃ হুম

আকাশঃ নাবিল কবে ফিরবে ওকে ছাড়া বাসাটা একেবারে খালি খালি লাগে।

ছোট মাঃ ও রওনা দিয়েছে এই চলে আসল বলে।

আকাশঃ ও ভালই হল।

ছোট মাঃ আচ্ছা আকাশ কাল এত রাতে মেয়েটাকে বের করে দেয়া টা ঠিক হল কোথায় গিয়েছে কে জানে।

আকাশঃ চিন্তা করো না আমি অফিসের একজন স্টাফ কে বলে দিয়েছি ওকে নিয়ে যেতে অফিসে ওরা ভাল বান্ধুবী তাই কোন অসুবিধা হবে না আর আমি অন্য কোন অফিসে ওর একটা চাকরির ব্যাবস্থা করে দিব। কথা যখন দিয়েছিলাম দায়িত্ব এড়িয়ে যাব কি করে বলো।ওকে ভয় দেখানোর জন্যই এত রাতে বের করে দিয়েছি যাতে ভবিষ্যতে কারো সাথে এমন না করে।

ছোট মাঃ যাক নিশ্চিন্ত হলাম ভাল করেছিস বাবা।এবার মেঘলাকে ডেকে আন তুই না বললে খাবে না হয়ত।

আকাশঃ ওমা মহারানী এখনো উঠে নি..??

ছোট মাঃ না তোর সাথে রাগ করেছে মনে হয়।

আকাশঃ এই জীবনে ও আর বড় হবে বলে মনে হয় না।
দাও ওর খাবার টা দাও আমি দিয়ে আসি।

আকাশ মেঘলার খাবার নিয়ে মেঘলার ঘরে যেতে গেল।দরজা খোলা থাকায় নক না করেই আকাশ ঢুকে গেল।
কিন্তু দরজা খুলে আকাশ বেশ অবাক হল।
কারন মেঝেতে মেঘলার জামা পড়ে আছে আকাশ জামাটা হাতে নিয়ে বিছানার দিকে তাকাতেই আকাশের হাত থেকে প্লেট টা পড়ে গেল।

এমন একটা দৃশ্য তার জন্য অপেক্ষা করছে সেটা আকাশ চিন্তাও করতে পারে নি।

(আকাশ কি দেখল জানতে চাওয়া আমার মন😌)
.
.
চলবে…!!!

Leave a Comment