Golperjogot

Golperjogot

তোমার আমার প্রেম – লাভস্টোরি পর্ব 12 | Bangla Premer Golpo

Tomar Amar Prem

Imtihan Imran { Part 12 }

শিকদার সাহেবের চোখ বড়বড় হয়ে যায়।তিনি আসলে কী ছিলেন.?

” সিজান আমি কেমন ছিলাম.? ও আমার নামে তোমাদের কাছে কি বলেছে.?আয়ান তুই কী বলেছিস.?

” আমি কিছু বলি নাই। এই ছেলে মিথ্যা বলেছে।

” বাহ! ভালো। আমার কাছে কোনো প্রমাণ নেই,তানাহলে আজকে ধরিয়ে দিতাম।

” চুপ কর বেটা,বেশি কথা বলিস।

সবার হাসি ঠাট্টার মাঝেই রাতের খাবার খাওয়া শেষ হলো।

আইরিন ও তার কাজিনেরা মিলে নতুন বউকে বাসরঘরে বসিয়ে দিয়ে দরজার সামনে এসে ভীড় করে দাঁড়িয়েছে।

আয়ান এসে বাসরঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে যায়। তার বোনেরা দরজার সামনে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে কেনো?

” কী চাই? সবাই এভাবে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো?

” টাকা চাই, টাকা।

” কীসের টাকা.?

” বাসরঘর সাজিয়ে দিয়েছি, সেইজন্য টাকা দিবা আমাদের।

” এতোগুলা রে টাকা দিলে তো আমি ফকির হয়ে যাবো।

” কি কিপটা রে ভাই তুই.? বউ আসতে না আসতে কিপটামি শুরু করছস.?

” কিপটা বলিস না। এই নে টাকা।

” কতো এখানে.?

” পাঁচ হাজার দিলাম।

” হবে না। দশ লাগবে।

” এতো টাকা নিবি.? ফকির করে ছাড়বে দেখছি।

আয়ান ওদেরকে দশ হাজার দিয়ে বাসরঘরে ঢুকে যায়।

আইরিন সবাইকে টাকা গুলো ভাগ করে দেয়। সিজান মজার ছলে আইরিনের কাছে এসে বলে।

” আমার টাকা কই.?

” আছে আছে। এই নেন আপনার টা।

” মজা করেছি। লাগবে না।

” আমি জানি আপনার অনেক টাকা। কিন্তু তারপরেও এটা নিতে হবে।

” আমার টাকা তুমি রেখে দেও। মনে করো বন্ধুর বোনকে আমি গিফট দিলাম।

” আচ্ছা। রেখে দিচ্ছি। (হেসে)

পরেরদিন,

সকালে সবাই ডাইনিং টেবিলে নাস্তা করার জন্য বসছিল।বড়রা খাওয়া দাওয়ার পর ছোটরা আসে নাস্তা করতে।

” ভাইয়া বাসররাত ভালো কেটেছে তো.?

” বেশি পাকনামি করিস ভাইয়ের সাথে। বিয়ে দিয়ে দিতে হবে তাড়াতাড়ি দেখতেছি।

” ওমা আমি কখন আমার বিয়ের কথা বললাম.? সিজান সাহেব আমি কখন আমার বিয়ের কথা বললাম, ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করেন তো.।

” আমি ভাই বোনের ভিতরে না কথা বলি। এটাই আমার জন্য ভালো হবে।

” ভীতু একটা।

” যা মনে করো। আমি কিছু বলব না।

” বলতে হবে না, হু।

খাওয়া দাওয়া শেষে আইরিন সিজানকে নিয়ে বের হয়। উদ্দেশ্য গ্রামে একটু হাটাহাটি করবে।

” তোমাদের গ্রামে থেকে যেতে পারলে ভাল্লাগতো।

” থেকে যান না। মানা করছে কে.?

” তা কী সম্ভব.?

” আপনি চাইলেই সম্ভব।

” চাইলেইও সম্ভব হবে না। অবশ্য এই গ্রামের একটা মেয়েকে বিয়ে করলে বারবার শুশুরবাড়িতে আসা যাবে।(হেসে)

” ঘরজামাই থাকার মতলব.?

” কখন বললাম.?

” আপনার কথা শুনেই বুঝা যাচ্ছে।

” তাই নাকি.?

” হ্যাঁ তাই।

” আচ্ছা তাহলে এমন মেয়ে কোথায় পাবো? যেখানে ঘরজামাই থাকা যাবে।

” নাই নাই। এমন মেয়ে নাই।

গ্রামের কয়েকটা মেয়ে সামনে থেকে আসছিল। আইরিন আর সিজানকে দেখে তারা দাঁড়িয়ে যায়।

” আইছে শাকচুন্নির দল। (মনে মনে)

” আরেব্বাস আইরিন তোদের বাড়িতেই যাচ্ছিলাম।হিরো টা কে রে? (একটা মেয়ে আইরিনের কানে ফিসফিস করে বলল)

” ও কোনো হিরো না।

” নিশ্চয় সিঙ্গেল?

” তা জেনে তুই কী করবি.?

” বুঝস না। লাইন মারবো।(হেসে)

” ভাইয়া একটা সেলফি তুলি আপনার সাথে.

সিজান কিছু বলতে যাবে তার আগেই অন্য একটা মেয়ে বলে উঠল।

” ভাইয়া মানা করবেন না প্লিজ। আমরাও তুলবো।

একটা মেয়ে এসে সিজানের পাশে দাঁড়িয়ে পিক তুলতে গেলে আইরিন মেয়েটাকে সরিয়ে দেয়। মেয়েটাকে সরিয়ে আইরিন সিজানের হাত ধরে ওদের সামনে থেকে নিয়ে যায়।

” বেয়াদব ছেরি গুলো। ছেলে দেখলেই ছবি তুলতে ইচ্ছে করে। (রেগে)

” আরে তুমি এতো রেগে যাচ্ছো কেনো? শুধু সেলফিই তো তুলতে চেয়েছিল.।

” শুধু সেলফি তাই না.? ওও খুব শখ মেয়েদের সাথে সেলফি তুলার তাই না..?।

” আরে আমি তা বলি নাই।

” বুঝি বুঝি সব বুঝি। যান যান মেয়েদের সাথে সেলফি তুলতে যান।

” না তুলতে ইচ্ছে করছে না এখন।

Click Here For Next :– চলবে

Writer :- Imtihan Imran

Leave a Comment