Golperjogot

Golperjogot

lover naki villain bangla love story part 34

লাভার নাকি ভিলেন – পর্ব ৩৪ থ্রিলার গল্প | মোনা হোসাইন

Lover Naki Villain

Mona Hossain { Part 34 }


আকাশ হটাৎ করে নার্ভাস হয়ে পড়েছে..

আকাশঃ আমি পাড়ব তো নাবিল...???

নাবিলঃ হ্যা তোকে পাড়তে হবে...

আকাশঃ প্লেন তো অনেক আগেই করেছিলাম কিন্তু এখন সব কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে।মেঘলার খুব কস্ট হবে।

নাবিলঃ হোক কত ভালভাবে বোঝালাম, কিন্তু বোঝলো কি? ওর জন্য এটাই ঠিক আছে...

আকাশঃ তুই সবটা একটু সামলে নিস।

নাবিলঃ চিন্তা করিস না আমি আছি তো।

নাবিলের মাঃ এই তোরা শিয়ালের মত কি যুক্তি করছিস? আকাশ যা বিয়ের সময় তো হয়ে গেল।

নাবিলঃ হুম আকাশ আর সময় নেই যা করার এখুনি করতে হবে....

আকাশঃ হুম ভাল লাভার তো হতে পাড়লাম না দোয়া করিস দোস্ত যেন ভাল ভিলেন হতে পাড়ি....




আকাশ ইরার কাছে গিয়ে বলল,ওই মেঘলা চল...

মেঘলাঃ কি বলবেন এখানেই বলুন...

আকাশঃ কিছু বলব না করব....আর সেটা সবার সামনে করা সম্ভব না... আকাশ আর কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই মেঘলার হাত ধরে জোর করে টেনি নিয়ে যেতে লাগল।

বর বিয়ের আসরে অন্য মেয়ের হাত ধরে টানাটানি করছে এটা সেখানে উপস্থিত কারোর হজম হলো না।সবাই যেন থমকে গেছে।ইরার মাথায় আকাশ ভেংগে পড়ল।

আকাশের বাবা মা আকাশের পিছন পিছন ছুটছে।
কিন্তু আকাশ ঝড়ের গতিতে মেঘলাকে নিয়ে রুমদ গিয়ে দরজা লক করে দিল।

আকাশের বাবাঃ এ ছেলে তো দেখছি মান সম্মানের ১২ টা বাজিয়ে দিবে।আরে তোকে বিয়ে করতে কে বলেছিল?ইরা কে বিয়ে যখন করবিই না মনের মধ্যে মেঘলা আছে তাহলে বিয়ের আয়োজন কেন করলি?এত লোকজনের সামনে এসব কি করছিস?
রাবেয়া আমার ধর্যের সীমা পেড়য়ে যাচ্ছে তোমার ছেলেকে আটকাও মেঘলার সাথে ও এমন করতে পাড়ে না।এটা অন্যায়।আমি তো আজকে ওকে খুন করে ফেলব আকাশ দরজা খোল...
সমানে ধাক্কা দিয়েই চলেছে আকাশের বাবা মা। ইরাও এসে যোগ দিয়েছে।

ইরাঃ আকাশ তুমি এসব কি করছো...??দরজা খোল প্লিজ তুমি এটা করতে পাড়ো না।
এবার সেখানে নাবিলের এন্ট্রি হলো,

নাবিলঃ কি হচ্ছে এখানে?

ইরাঃ দেখতে পাচ্ছো না কি হচ্ছে? দাঁড়িয়ে না থেকে আকাশ কে বলো এখনি বাইরে আসতে।

নাবিলঃ হা হা হা আমাকে কি পাগলা কুকুরে কামড়েছে যে এসব বলল। আকাশ আগে যেটা করছিল সেটা অন্যায় ছিল এখন যেটা করছে সেটাই ঠিক।
আংকেল সবাইকে নিয়ে এখান থেকে যান....

আকাশের বাবাঃ এসবের মানে কি নাবিল তোরা এত বেয়াদব হয়েছিস?

নাবিলঃ মাফ করবেন আংকেল আমরা যারা রাজনীতি করি আমাদের ভালর চেয়ে খারাপ দিক গুলিই মানুষের চোখে পড়ে বেশি।
সে যাই হোক আপনারা সবাই এখন এখান থেকে যান। আমাকে খারাপ হতে বাধ্য করবেন না আর নাবিল বেঁচে থাকতে দরজার ওই পাশে কেউ যেতে পাড়বে না।আকাশের সময় হলে সে নিজেই বাইরে আসবে।
এই দিনটার জন্য আকাশ ১ মাস ধরে প্লেন করেছে আপনারা তাতে জল ঢালতে পাড়েন না।

নাবিলঃ এই কে আছিস সবাইকে এখান থেকে নিয়ে যা...
নাবিল বলার সাথে সাথে কতগুলি ছেলে এসে সবাইকে সরিয়ে দিল।

নাবিলের মাঃ লজ্জা সরমের মাথা কি খেয়ে ফেলেছিস নাবিল? একটা মেয়ের সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে নিজে তো সাহার্য্য করছিস না উল্টে সবাইকে সবাইকে আটকে রাখছিস? ছি ছি ছি এই ছেলেকে আমি পেটে ধরেছিলাম ভাবতেও ঘিন্না হচ্ছে আমার।কি করে পাড়ছিস জানুয়ার....???

নাবিলঃ জানুয়ার নয় বলো ভিলেন।গল্পের ভিলেন যা খুশি করতেও পাড়ে।

নাবিল ছেলেদের উদ্দেশ্য করে বলল এই তোদের এত এত টাকা দিয়ে কেন জন্য পোষি বলতো?সামান্য এই কয়জন কে সামলাতে পাড়ছিস না?এত কথা বলছে কি করে?কেউ আর একটা কথা বল্লে কি করতে হবে নিশ্চুই জানিস?
আপাতত এরা আমাদের পথের কাঁটা
আর পথের কাঁটা মানে পথের কাঁটাই এখানে আপন পরের কোন হিসাব নেই বোঝেছিস।

ছেলেগুলির মধ্য থেকে একটা ছেলে বলে উঠল কেউ আর একটা কথা বল্লে গায়ে হাত তুলতে বাধক্স হব সবাই নিচে যান বলছি....

নাবিলের মা তো নাবিলের আচারন দেখে কেঁদেই ফেলেছেন যেখানে নিজের মাকে ছাড় দিচ্ছে না সেখানে আর কেউ কথা বলার সাহস পেল না।



এদিকে ঘরের ভিতরে আকাশ মেঘলাকে ছুড়ে বিছানায় ফেলে দিয়েছে।

মেঘলার মাথায় কিছুই ঢুকছে না সে ঘরের ভিতর থেকে নাবিলের কথা স্পষ্টই শুনতে পাচ্ছে। তাই আরো তাল গোল পাকিয়ে যাচ্ছে।

আকাশ উল্টো দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে।সে গভীর চিন্তায় মগ্ন....

মেঘলা কিছুক্ষন নাবিলের কথা শুনার পর আকাশ কে প্রশ্ন করল ভাইয়া এখানে কি হচ্ছে আমি তো কিছুই বোঝতে পাড়ছি না।

আকাশ মেঘলার দিকে তাকিয়ে বকল এখুনো হয় নি তাই বোঝতে পাড়ছিস না। যখন হবে তখন বোঝবি....

মেঘলাঃ কি হবে...??আমি কি কিছু ভুল করেছি? আমাকে মারবেন?মেঘলা চিন্তা করতে লাগল সে কি ভুল করেছে? কিন্তু মেঘলার কোন ধারনাও নেই আকাশ তার সাথে কি করতে চলেছে?

আকাশঃ কিভাবে শুরু করব সেটাই বোঝতে পাড়ছি না...
শোন মেঘলা তোকে কয়েকটা কথা বলছি মন দিয়ে শোন, দেখ তুই এখন কস্ট পাবি জানি কিন্তু যদি ছটফট করিস বা আমাকে বাঁধা দিস আরো বেশি কস্ট পাবি তাই শুধু শুধু বাধা দেওয়ার বৃথা চেস্টা করিস না তুই আমার সাথে পাড়বিনা তো জানিস? শুধু শুধু নিজের কস্ট বাড়াস না।

এবার মেঘলা বোঝল আকাশ কি করতে চলেছে বোঝার সাথে সাথে সে বিছানা থেকে নেমে দরজার দিকে দৌড় দিল।

কিন্তু দরজা খুলতে পাড়ছে না নাবিল বাইরে থেকে আগেই লক করে দিয়েছে।

আকাশ এসে খপ করে মেঘলার হাত ধরল মেঘলা ভয় পেয়ে আকাশের কাছ থেকে হাত সরিয়ে নিল।

আকাশ অনেক আগে থেকে প্লেন সাজানো তুই চাইলেও এই গন্ডি থেকে বের হতে পাড়বি না।তাই যা হচ্ছে হতে দে।

আকাশ মেঘলার ওড়না ধরে টানতেই মেঘলা চেঁচিয়ে উঠল।

মেঘলাঃভাইয়া কিছুক্ষন পর আপনার ইরা আপুর সাথে বিয়ে এখন আপনি আমার সাথে এত বড় অন্যায় করতে পাড়েন না।

আকাশঃ তোকে পাওয়ার জন্য আমি সব করতে পাড়ি...
মেঘলা আপ্রান চেস্টা করছে আকাশকে থামানোর কিন্তু আকাশের সাথে পেড়ে উঠছে না আকাশ মেঘলাকে ফেলে দিয়ে মেঘলার ২ হাত চেপে ধরে মেঘলার গলায় মুখ ডুবালো।

মেঘলা চেচাঁচ্ছে তার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।ঠোঁটের লিপস্টিক এব্রো থেবড়ো হয়ে গেছে।চোখের কাজল ঘেঁটে গেছে।

মেঘলাঃ ছাড়ুন ভাইয়া এমন করবেন না প্লিজ....আমার উপড় দয়া করুন প্লিজ।

আকাশ ছাড়বে না বোঝতে পেড়ে মেঘলা বলল আপনার লজ্জা করছে না এত নিচে কি করে নামছেন আপনি...???

আকাশঃ হিরোরা যা ইচ্ছা তাই করতে পাড়ে না কিন্তু ভিলেন সব পাড়ে।আমি আর হিরো হতে চাই না এবার ভিলেন হতে চাই...

মেঘলাঃ আমার শরীর খারাপ লাগছে ভাইয়া ছেড়ে দিন প্লিজ।

আকাশ মেঘলার দিকে তাকিয়ে দেখলো মেঘলার চোখে মুখে ভয়ের ছাপ তাই আকাশ মেঘলাকে ছেড়ে দিল।আকাশ মুখ ঘুরিয়ে বসে আছে।
মেঘলা বসে বসে কাঁদছে।

আকাশ ফোন হাতে নিয়ে বেলকনিতে গিয়ে নাবিল কে ফোন দিল।

নাবিলঃ কি হয়েছে?

আকাশঃ কি আবার হবে আমাদের প্লেন ফ্লপ হয়েছে.... চুড়ান্ত মাফের ফাউল একটা প্লেন করেছিলাম।আগেই জানতাম আমি এটা পাড়ব না শুধু শুধু ঝামেলা করলাম কাজের কাজ তো কিছুই হল না।

নাবিলঃ আজব যে কিনা চোখের পলকে কয়েক ডজন ছেলেকে মাটিতে মিশিয়ে দিতে পাড়ে সে এইটুকু পাড়ছে না? মেঘলার কি তোর চেয়ে শক্তি বেশি?

আকাশঃ হয়ত মেয়েটা মেঘলার জন্যই পাড়ছি না... এই মুহুর্ত টাকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখেছি...কিন্তু সেই স্বপ্নে তো মেঘলার এই অবস্থা ছিল না।ও আমাকে দেখে ভয় পাচ্ছে নাবিল। কাঁদছে...
আমি পারব না মেঘলাকে কাঁদিয়ে ওর ইচ্ছার বিরুদ্ধে এত জঘন্য একটা কাজ করতে।
মারি কাটি যাই করি আমি মেঘলাকে সম্মান করি নাবিল।ওর সম্মান নিয়ে টানাটানি আমি করতে পাড়ব না।

নাবিলঃ বোঝেছি.... আচ্ছা জঘন্য কিছু করতে হবে না। জামা কাপড় ছিড়ে নিয়ে আয় যাতে অন্তত বোঝা যায় যে তুই ওকে রেপ করেছিস।

আকাশঃ পাগল হয়ে গেছিস নাকি তাতে তো মেঘলা আরো ক্ষেপে যাবে....যদি প্লেনমত কাজ করতে পাড়তাম তাহলে না হয় বাধ্য হয়ে আমাকে বিয়ে করত কিন্তু তুই যেটা বলছিস তাতে তো আমি সবার কাছে খারাপ হবই আর কাজের কাজ কিছু হবে না।

নাবিলঃ সব হবে তুই এই টুকু কর আমি বাকিটা দেখছি আর যদি এটাও না পাড়িস মনে রাখিস মেঘলাকে তোর সারাজীবনের জন্য হারাতে হবে।

আকাশঃ না.... ওকে ছাড়া আমি বাঁচব না।
আমি পারব। পারতে আমাকে হবেই

নাবিলঃ গুড....

আকাশ এসে আবার মেঘলাকে জড়িয়ে ধরল।
মেঘলা কাঁদতে কাঁদতে বলল আবার এমন করছেন কেন?যেতে দিন আমায় দরজা খুলতে বলুন...
আকাশ কথা না বলে মেঘলার ঠোঁটে জোড়ে কামড় বসিয়ে দিল।ঠোঁট কেটে রক্ত বের হচ্ছে। আকাশ মেঘলার জামা কাপড় ছিড়ে দিল।সারা শরীরে নখের আঁচড় আর কামড়ের এর দাগ বসিয়ে মেঘলাকে টানতে টানতে নিয়ে সবার সামনে উপস্থিত হল।

আকাশের বাবা এসে আকাশ কে থাপ্পড় মারল।
আমি তোকে পুলিশে দিব....

আকাশঃ মারো কাট যাই করো আপত্তি নেই কিন্তু মেঘলাকে দেখেতো বোঝতেই পাড়ছো ওর সাথে কি কি হয়েছে তাই আগে আমাদের বিয়ে দাও তারপর পুলিশে দাও জাহান্নামে পাঠাও যা খুশি কতো আর এখনো যদি আমাদের বিয়ে না দাও তাহলে আর কিছু বলার নেই।

ইরা এসে রাগি লুক নিয়ে আকাশকে বলল তুমি এসব কি বলছো? আমাদের আজ বিয়ে হওয়ার কথা আকাশ।

আকাশঃ আমাকে কি পাগল পেয়েছো আমি কেন তোমায় বিয়ে করতে যাব? আমি তো মেঘলাকে জ্বালানোর জন্য আর ওকে বউ হিসেবে পাওয়ার জন্য ১ মাস ধরে প্লেন বানাচ্ছিলাম। আর তুমি সেই প্লেনের একটা গুঁটি মাত্র।আমি এই আয়োজন করেছিলাম শুধুমাত্র মেঘলাকে পাওয়ার জন্য বাড়ির ভিতরে ওর পেটে বাচ্চা হলেও সবাই মিলে চাপা দিয়ে দিত তাই একটা গেট টুগেদার করতে চেয়েছিলাম যেখানে সবাই উপস্থিত থাকবে আর সবার সামনে মেঘলার সাথে এমন ঘটবে অতঃপর আমাদের বিয়ে হবে।

ইরাঃ আমার কি দোষ ছিল আমাকে কেন এভাবে অপমান করলে?

আকাশঃ আমি তো তোমাকে বলেই দিয়েছিলাম আমি যখন তখন মেঘলার কাছে চলে যেতে পাড়ি। আর অন্য একটা মেয়েকে ভালবাসে এমন ছেলেকে জেনে শুনে তুমি কেন বিয়ে করছো সেটা না বোঝার মত বোকা আমি নই।কত কিছু নিয়েছো সেটা তো ভাল করেই জানো তাই ঝামেলা করো না আর চিন্তা করো না ব্যালেন্স অলরেডি তোমার একাউন্টে ডিপোজিট হয়ে গেছে।

ইরাঃ আমি জানতাম এমন কিছু হবে তাই আগেই বারবার বলেছিলাম।কি হল মেঘলা এবার কোথায় গেল তোমার প্রতিজ্ঞা?

আকাশঃ এতকিছুর পরেও যদি কিছু বলার থাকে তাহলে বলব সত্যিই কি বিয়ে করবে একজন রেপিস্ট কে?যে কিনা একটু আগেই একটা মেয়েকে রেপ করেছে।আর মেঘলাকে দোষ দিচ্ছ কেন? ও যে ইচ্ছা করে কিছু করেনি সেটা তো ওকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে...বেচারির উপড় দিয়ে অনেক দখল গিয়েছে এখানে যা হয়েছে সব ওর উপড় জোর করে করা হয়েছে তাই ওর এখানে কিছু বলার নাই....

মেঘলাঃ আছে আমার বলার আছে...
এত কিছুর পরেও আমি মেঘলা আপনার মত একটা ভিলেন কে বিয়ে করব না।মেয়েরা কারোর হাতের পুতুল নয় যে যখন তখন জোর করে তাদেরকে বিয়ে করা যায়।

আমি করব না আপনাকে বিয়ে।
কি হবে বিয়ে না করলে? লোকে আমায় নস্টা বলবে? সমাজ আমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে? নিক তবুও আমি এমন জঘন্য একটা ছেলেকে বিয়ে করব না। যে কিনা মেয়েদের সম্মান করতে জানে না।

কি ভেবেছেন জোর করে রেপ করে মেয়েদের বউ বানানো যায়? না মিঃ আকাশ এমন জঘন্য কাজ করে ঘৃনার পাত্র হওয়া যায় মনের মানুষ হওয়া যায় না....!!!

পড়ুন  Love Never Ended Part 14 | Come Back Sad Love Story
পরবর্তী পর্বের জন্য ক্লিক করুন :>> চলবে

Writer :- মোনা হোসাইন

About The Author

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Home
Stories
Status
Account
Search
Scroll to Top