Mukhosh
Mona Hossain { Part 6 } recap
রুহিঃ আপনার মাথায় সমস্যা থাকলেও আমার মাথায় নাই। মা কে বলবেন যেন কোন ভাল মেন্টাল ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়।
রাজঃ আমার আগেই বোঝা উচিত ছিল তুমি ভাল কথার মেয়ে না বলেই রুহিকে টেনে তুলে, চলো এবার আমি নিজেই ড্রেস চেঞ্জ করে দিচ্ছি বলে রুহির জামার দিকে হাত বাড়ালো ।
রুহি জামা আখঁরে ধরে বলল নাহ,,,,,,,কি করছেন এসব?
রাজঃ যা তুমি চাইছো,,,,,,
রুহি আর কিছু না বলে ওয়াশরুমে চলে গেল।কিছুক্ষন পড় কাঁদতে কাঁদতে বাইরে আসল।
রুহিকে কাঁদতে দেখে রাজ অস্থির হয়ে গেল। কি হয়ছে রুহি কাঁদছো কেন?
রুহি রাজের সামনে হাত দুটো বের করে ধরল। ২ টি হাতেই জায়গায় জায়গায় চিড়ে গেছে।রুহি তাতে সাবান লাগানোতে জ্বালা করছে তাই কাঁদছে।
রাজঃ ইডিয়েট হাতের কি অবস্থা করেছো?তোমাকে গলা টিপে মেরে ফেলতে পারলে ভাল হত।
রাজ রুহিকে এনে বসিয়ে দিল তারপর হাতে আর ঠোঁটে বরফ লাগিয়ে দিল তাতে ঠোঁটের ফুলা কিছুটা কমে গেল।হাতে বেন্ডেজ করে দিয়ে বাইরে নিয়ে গেল।
রুহিঃ ইনি চায় টা কি?এক এক সময় এক এক ধরনের ব্যবহার করে।
রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে বসতেই ওয়েটার এসে বলল
স্যার কি খাবেন?
রাজ ইশারায় রুহিকে দেখিয়ে দিল।
ওয়েটারঃ ম্যাম কি খাবেন?
রুহিঃবিষ......
পাওয়া যাবে? একটু বিষ নিয়ে আসেন যান।
ওয়েটার একবার রাজের মুখের দিকে তাকাচ্ছে আবার রুহির দিকে।
রাজঃ রাগ কন্ট্রলের হাসি দিয়ে বলল কেন পাওয়া যাবে না অবশ্যই যাবে। যাও একটা ক্লোড কফি আর চাওমিন নিয়ে এসো সাথে চিলি চিকেন।
আর শোনো চিলি চিকেনের সাথে ১০ চামচ, না ১০ না এক বাটি এক্সট্রা মরিচ মিশিয়ে নিয়ে এসো।
ওয়েটারঃ স্যার চিলি চিকেন তো এমনেতেই.....
রাজঃ শুনলে না ম্যাম বিষ খেতে চান তাই যা বল্লাম তাই করো।
রুহিঃ সাইকো কি বলছে এগুলা?রুহি পালা এখান থেকে নাহলে এই সাইকো তোকে এই সব ঝাল খাওয়াবে।(মনে মনে)
রাজঃ আজে বাজে চিন্তা ছাড়ো, না খেয়ে কোথাও যেতে পাড়ছো না তুমি।
রুহিঃ আপনার বাড়িতে জানে?
রাজঃ কি জানবে?
রুহিঃ এই যে আপনার মাথার তার সবগুলাই ছিড়ে গেছে।
রাজঃ আমার মাথা সবার চেয়ে একটু বেশিই কাজ করে তাই সবার মত করে ভাবতে পাড়ি না।একটু নিজের মত করে ভাবি।
ওয়েটার এসে খাবার দিল।
রাজ কফিটা নিজের দিকে নিয়ে চাওমিন টা রুহির দিকে দিয়ে বলল নাও সোনা খাওয়া শুরু করো।
রুহি একবার খাবের দিকে আবার রাজের দিকে তাকাচ্ছে।
রাজঃ খাও বলছি(ধমক দিয়ে)
রুহি একচামচ নিয়ে মুখের সামনে নিচ্ছে আবার নামিয়ে রাখছে।
রাজের খুব হাসি পাচ্ছে রুহির কান্ড দেখে।
রাজ নিজেই এক চামচ খাবার রুহির মুখে তুলে দিল।
রুহি ভয় ভয়ে খেল,
রুহিঃ কই ঝাল তো নাই।
রাজঃ একদিনে বেশি শাস্তি দেইনা তাই ওয়েটারকে ইশারায় মানা করে দিয়েছিলাম।
রুহি তাহলে তো খাওয়া যায় বলে খেয়ে নিল।
,
,
,
রাজ এসে রুহির হলের সামনে নামিয়ে দিল,
গাড়ি থেকে নামতেই
স্নেহার সাথে দেখা হল।
স্নেহাঃ আরে রাজ তুই এখানে?কোথায় গিয়েছিলি?
রাজঃ আরে বলিস না এই ফকিন্নি এসে বলল বাইরে খেতে চায় আসলে জানিস তো গরিব ভাল মন্দ খেতে পাড়ে না আর আমার কাছে এভাবে বলল তাই খাওয়াতে নিয়ে গিয়েছিলাম।
রুহি আবার ধাক্কা খেল,
রুহিঃআমি......???
রাজঃ তানাহলে তোর মত ফাউল মেয়েকে নিয়ে আমি যেতাম? আচ্ছা বলত আমার টাকায় যা যা খেয়েছিস সেগুলি এর আগে কখনো খেয়েছিস?
অবশ্য তার বিনিময়ে অনেক আনন্দও দিয়েছিস আমায়। একটু অন্যরকম ভাবে তাকিয়ে বলল
রুহি বোঝল রাজ খারাপ কিছু ইংগিত করছে।
স্নেহাঃ ছি,,, রাজ কি বলছিস এগুলা?
রাজঃ আরে স্নেহা, তুই জানিস না টাকার জন্য এর মত মেয়েরা সব করতে পাড়ে। দেখিস নি ক্লাসে এত কিছু হওয়ার পড়েও আমার সাথে গেল শুধু মাত্র ভাল কিছু খেতে পাড়বে বলে।
রুহির লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে গেল।কান্নাও পাচ্ছে খুব।
রুহি নরম গলায় বলল আমি এখন যাই রাজ....
রাজ আবারও রুহিকে একটা থাপ্পড় মারল,কি মনে করেছিস আমি মিথ্য বলছিলাম তখন,
ক্লাসের সব গুলা কথাই সত্যি ছিল।আমার সাথে গিয়েছিলি বলে খুশিতে আত্নহারা হয়ে যাস না। আমাকে রাজ বলে ডাকতে মানা করছি না?স্যার বলে ডাকবি।আফটার অল তোর একজন কাস্টমার আমি।
রুহিঃ গালে হাত দিয়ে নিশব্দে চোখের পানি ফেলতে ফেলতে সেখান থেকে চলে গেল।
স্নেহাঃরাজ তুই কি চাইছিস বল তো?
কাল অব্দি তুই তো রুহিকে অনেক ভালবাসতি....
রাজঃ এখন বাসি না কে বল্ল?
স্নেহাঃ বোঝলাম না।
রাজঃ পড়ে বোঝাব, এখন শুধু এই টুকু জেনে রাখ এই মেয়েটা রাজের জান।
স্নেহা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকল
রাজ চলে গেল।
স্নহাঃ যাক বাবা এ আবার কেমন ভালবাসা....???
পরদিন সকালে,
রুহি ক্লাসে এসে পিছনের সিরিয়ালে গিয়ে দেখল একটা ছেলে বসে আছে।
রুহিঃ আমি এখানে একটু বসতে পাড়ি?
ছেলেটঃ হ্যা অবশ্যই কেন নয়,বসুন না।
রুহিঃধন্যবাদ বলে রুহি ছেলেটির পাশে বসল,
ক্লাসের অপেক্ষা করছিল সবাই।
কিন্তু ক্লাসের আগেই রাজ এসে রুহিকে একটানে ছুড়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে রুহির সাথে বসে থাকা ছেলেটিকে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে আর বলছে,কি বলেছিলাম এর পাশে কেউ বসবে না।আমার কথা কানে যায় নি? এখন দেখ আমি তোর কি অবস্থা করি ।
রুহি দৌড়ে এসে বলল মারবেন না প্লিজ বিশ্বাস করুন উনি বসেন নি। আমিই বসেছিলাম।
রাজঃ তোর ব্যবস্থা পড়ে করছি আগে এটার করি বলেই ছেলেটিকে মারতে শুরু করল।
ছেলেটির নাক মুখ দিয়ে রক্ত পড়তে লাগল।
রুহি কাঁদতে কাঁদতে বলল ছেড়ে দিন প্লিজ।
রাজঃ সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল এর পরেও যদি এই ভুলটা কেউ করো তাহলে এর চেয়েও খারাপ অবস্থা করব বলে ছেলেটিকে ছেড়ে দিয়ে বাইরে চলে গেল।
রুহি কাঁদতে কাঁদতে বলল সরি আমি বোঝতে পাড়ি নি এমন কিছু হবে। আমাকে মাফ করে দিন প্লিজ, বলে নিজের ওড়না দিয়ে ছেলেটির রক্ত মুছে দিতে লাগল।
Related Story
একটু পর রাজ এসে বলল,
বাহ.....!!! বিনা টিকিটে এখানে বাংলা সিনেমার ইমোশনাল সিন দেখানো হচ্ছে নাকি?
রুহি রাজের দিকে তাকালো, তার চোখে অঝর ধারায় পানি পড়ছে সেটা দেখে রাজের মেজার আরো খারাপ হয়ে গেল।
রাজ এসে ছেলেটিকে টেনে তুলে বলল
ছেড়ে দিয়েছিলাম.... কিন্তু ভাই তোর ত বাঁচার কোন ইচ্ছায় নাই।আমি আর কি করব বল তো?
রাজঃ এই কে আছিস মালটাকে ছাদে নিয়ে যা আমি আসছি।
কয়েকটা ছেলে এসে ছেলেটাকে নিয়ে গেল।
ভয়ে রুহির গলা শুকিয়ে গেছে।
রাজের পায়ে ধরে বলল প্লিজ ক্ষমা করে দিন আর হবে না।
রাজ রুহির চুলের মুটি ধরে তুলে বলল, যা হওয়ার হয়ে গেছে....তুই একটা ছেলের গায়ে হাত দিয়েছিস আবার নিজের নাগরের জন্য চোখের জলে নয়ন ভাসাচ্ছিস।
কেঁদে কেঁদে সবার সামনে রোমান্টিক সিন ক্রিয়েট করার আগে মনে ছিল না আমার কথা?ভালবাসার আদান প্রদানের সময় মনে ছিল না......
ওড়নায় লেগে থাকা রক্ত দেখিয়ে বলল তোর ওড়না এতই সস্তা হয়েছে যে যার তার গায়ে বুলিয়ে দিস।
রাজ সবার সামনেই একটানে রুহির ওড়না টা ফেলে দিল।আর বলল দূর হ এখান থেকে।
রুহি ওড়নাটা তুলতে গেল, রাজ ওড়নায় পায় দিয়ে ধরে বলল ওটা ছাড়াই যাবি সবাই দেখুক তুই কত খারাপ।
রাজঃবার বার বলছিলাম আমাকে রাগাস না। শুনলি না আমার কথা। মাঝখান থেকে একটা নীরহ ছেলের জীবন গেল।আসলে মেইন কালপ্রীট ত তুই।
রুমে যা আর নিজের কর্মফল ভোগ করার জন্য তৈরি হ...
রাজ আসছে তোর জীবন নরক বানাতে